ভারত সফরে গিয়ে গত ১৪ ও ১৫ এপ্রিল রায়গঞ্জের তৃণমূল প্রার্থী কানহাইয়ালাল আগরওয়ালের হয়ে ভোট প্রচারে গিয়েছিলেন ফেরদৌস। এমন অভিযোগ এনে বাংলাদেশি এ নায়কের ভিসা বাতিল করে তাকে ভারতীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ‘কালো তালিকাভুক্ত’ করে এবং ভারত ছাড়ার নির্দেশ দেয়।
এ নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়েছে। নরেন্দ্র মোদির দল বিজেপির নেতারা ফেরদৌস ও তৃণমূল প্রধান মমতা ব্যানার্জির কঠোর সমালোচনা করেন।
অবশেষে এ বিষয়ে মুখ খুললেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। ভারতের লোকসভা নির্বাচনে ঘটে যাওয়া ঘটনার প্রায় দুই মাস পর এ নিয়ে কথা বললেন তিনি। তার কণ্ঠে পাওয়া গেল বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষোভ।
গত সোমবার (১০ জুন) কলকাতায় সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘ভোটের সময় বাংলাদেশ থেকে আমাদের একজন বন্ধু এসেছিলেন। তৃণমূলের মিছিল দেখে তিনি রাস্তায় দাঁড়িয়ে পড়েছিলেন। ব্যাস, অমনি তার ভিসা ক্যানসেল করে দেয়া হলো। এটা কেমন কথা? তার ভিসা বাতিলের কোনো যুক্তি নেই।’
ফেরদৌসের পক্ষ নিয়ে মমতা ব্যানার্জি বলেন, ‘ফেরদৌস আদৌ তৃণমূলের প্রচারে যুক্ত ছিলেন না। শুধু সামনে দিয়ে তৃণমূলের মিছিল যাচ্ছিল দেখে দাঁড়িয়ে পড়েছিলেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচনের সময় ওরা (বিজেপি) বাংলাদেশ থেকে কাদের নিয়ে এসেছিল, এই রাজ্যে কী করিয়েছিল সেটা বরং খোঁজ নেয়া দেখা হোক। বিজেপির হাত ধরেই বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশের হার বেড়েছে।’
এদিকে ফেরদৌসের ভিসা বাতিলের পর তিনি পশ্চিমবঙ্গে যেসব চলচ্চিত্রর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন সেগুলোর শুটিংও অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে। মমতার এ বলিষ্ঠ বিবৃতির পর টালিগঞ্জ সিনেমা-মহলে স্বস্তির বাতাস বইছে। ধারণা করা হচ্ছে শিগগিরই ভারতে প্রবেশের অনুমতি পাবেন ফেরদৌস। তার ভিসা যাতে পুনর্বহাল করা হয় সে জন্য পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হয়তো কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে লড়বেন।
এ বিষয়ে ফেরদৌসের অভিমত জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা একটা রাজনৈতিক ইস্যু হয়ে গেছে। আমি এ নিয়ে কোনো কথা এখন বলতে চাই না। আমি অপেক্ষা করছি একটা ভাল সিদ্ধান্ত আসবে বলে। আপনারাও অপেক্ষা করুন।’
যে কারণে কক্সবাজারে নাটকের তারকাদের ভিড়
তারকাদের সব খবর এখন মেলে অন্তর্জালে। প্রযুক্তির উৎকর্ষে তারকারা এখন সময়ে সময়ে কোথায় আছেন, কী খাচ্ছেন সব আপডেট জানিয়ে দেন...
Discussion about this post