নুর মো:শাওন মিন্টু::বান্দরবানের লামায় পাহাড় ও ছরা খুঁড়ে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনকারিদের বিরুদ্ধে অভিযানে নেমেছে উপজেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর । বুধবার (১২ জুন) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ইয়াংছা, কাঠাঁলছড়া ও বনপুর এলাকায় পাথর উত্তোলনকারিদের বিরুদ্ধে এই সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে অংশ নেন, লামা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইশরাত সিদ্দিকা,বান্দর পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক একেএম সামিউল আলম কুরসী,পরিবেশ অধিদপ্তর বান্দরবানের ইন্সেপেক্টর নাজনীন সুলতানা নীপা ও লামা থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মো. আশরাফ সহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এছাড়া তার আগের দিন মঙ্গলবার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ইয়াংছা,কাঠাঁলছড়া ও বনপুর এলাকায় অবৈধ মজুদকৃত ৫ লক্ষাধিক পাথরের মজুদস্থল পরিদর্শন করেন লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূর-এ জান্নাত রুমি। পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক একেএম সামিউল আলম কুরসী বলেন,শীঘ্রই লামার ইয়াংছা ও বনপুর অংশে অবৈধ পাথর উত্তোলনের সাথে জড়িত ব্যবসায়ীদের সাধারণ মামলার মাধ্যমে আইনের আওতায় আনা হবে। বুধবার সরজমিনে আমরা পাথর উত্তোলনের চিত্র, পরিবেশের ক্ষতির মাত্রা ও অবৈধ মজুদকৃত পাথরের স্তুপ পরিদর্শন করেছি। স্থানীয়দের দেয়া তথ্যমতে প্রতীয়মান হয় যে, চলতি মৌসুমে এইসব অবৈধ পাথর ব্যবসায়ীরা কমপক্ষে ১০ থেকে ১২ লক্ষ ঘনফুট পাথর পাচার করেছে। ইয়াংছা ও বনপুর অংশে বর্তমানে প্রায় ৫ লক্ষাধিক ঘনফুট পাথর মজুদ রয়েছে। অবৈধ পাথর উত্তোলন ও পাচারকারীদের বিরুদ্ধে পরিবেশ আইনে নিয়মিত মামলার প্রস্তুতি চলছে। লামা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইশরাত সিদ্দিকা বলেন, সংশ্লিষ্ট বিভাগ পরিবেশের জন্য ক্ষতিকারক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূর-এ জান্নাত রুমি বলেন, অবৈধ মজুদকৃত পাথর যেন রাতার আধাঁরে পাচার হয়ে না যায় সে ব্যাপারে আমরা সজাগ রয়েছি।
বর্ষার আগেই প্রত্যাবাসন শুরু করতে চায় বাংলাদেশ
বর্ষার আগেই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করতে চায় বাংলাদেশ। আগামী সপ্তাহে অনুষ্ঠেয় বাংলাদেশ, চীন ও মিয়ানমারের মধ্যে পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের...
Discussion about this post