পরিচয় গোপন করে বাংলাদেশি সেজে পাসপোর্ট করতে এসে মো. ফয়সাল (১৯) নামে এক রোহিঙ্গা যুবক আটক হয়েছে।
বুধবার (২৮ আগস্ট) নগরীর মনসুরাবাদে চট্টগ্রাম বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসে রোহিঙ্গা যুবকের এই জালিয়াতি ধরা পড়ে। এরপর তাকে ডবলমুরিং থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
ফয়সালের বাবার নাম সোনা মিয়া, মায়ের নাম আনোয়ারা বেগম। মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়ে তারা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।
জালিয়াতি প্রসঙ্গে বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসের পরিচালক আবু সাইদ সারাবাংলাকে জানান, পাসপোর্টের আবেদনে ফয়সাল তার বাবার নাম মোহাম্মদ নাসিম ও মায়ের নাম শমজিদা বেগম উল্লেখ করেছে। ঠিকানা হিসেবে ব্যবহার করেছে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার জঙ্গল লতিফপুর। প্রাথমিক তথ্য যাচাই-বাছাইয়ের পরে আঙ্গুলের ছাপ নেওয়ার সময় তার জালিয়াতি ধরা পড়ে।
‘পাসপোর্টের আবেদনে এখন নতুন করে আঙ্গুলের ছাপ নেওয়ার একটি প্রক্রিয়া যুক্ত হয়েছে। ফয়সালের আঙ্গুলের ছাপ তথ্যভাণ্ডারে সংরক্ষিত রোহিঙ্গাদের সঙ্গে মিলে যায়। এ সময় জিজ্ঞাসাবাদে ফয়সাল নিজেকে রোহিঙ্গা হিসেবে স্বীকার করে এবং তার কাছ থেকে মিয়ানমারের নাগরিকত্ব নিবন্ধন কার্ড পাওয়া যায়’— বলেন আবু সাইদ।
তিনি জানান, মিয়ানমারের নিবন্ধন কার্ডে ফয়সালের বাবার নাম সোনা মিয়া এবং মায়ের নাম আনোয়ারা বেগম লেখা আছে। জিজ্ঞাসাবাদে ফয়সাল জানিয়েছে চার বছর বয়সে সে বাবা-মার সঙ্গে মিয়ানমার থেকে এসে কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার বালুখালী শরণার্থী ক্যাম্পে আশ্রয় নেয়। তবে পরবর্তীতে তারা বান্দরবানের সীমান্তবর্তী উপজেলা নাক্ষ্যংছড়িতে গিয়ে বসবাস শুরু করে।
দেশের ৬৫১ তম থানা কক্সবাজারের ‘ঈদগাঁও’
সমুদ্রকন্ঠ রিপোর্ট ॥ কক্সবাজার সদর উপজেলার পাহাড় ও উপকূল বেষ্টিত বৃহত্তর ঈদগাঁওকে আলাদা থানা ঘোষণা করা হয়েছে। ঈদগাঁওর পাঁচ ইউনিয়নের...
Discussion about this post