সমুদ্রকন্ঠ রিপোর্ট॥
গত ২২ অক্টোবর ঘটা করে বাংলাদেশ আওযামীলীগে যোগদান করেছিলেন, ভিন্ন মতাদর্শী মুজিবুর রহমান ওরফে লায়ন মুজিব।
এদিকে দলের নেয়ার মাত্র ছয় দিনের মাথায় “ভোল পাল্টালো” পেকুয়া আওযামীলীগ। উল্লেখ্য,লায়ন মুজিবুর রহমান কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য সচিব এবং একইসাথে তিনি ওই ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে নিজেকে দাবী করেন। কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনায় মূলতঃ জামায়াত শিবিরের সমর্থক ব্যক্তিরা নিয়োজিত আছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
লায়ন মুজিব বিগত বিএনপির আমলে সাবেক যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রীর এলাকায় পেকুয়া শহীদ জিয়াউর রহমান উপকূলীয় কলেজের সভাপতি ছিলেন।
গত ২২ অক্টোবর জেলা আ’লীগের পক্ষ থেকে একটি কমিটি ঘোষণা করেন। তাতে ৬ নং সদস্য করা হয়। মুজিবুর রহমান নামের একজনকে। এরপর প্রথম পরিচিতি সভায় লায়ন মুজিবুর রহমান উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন।
এদিকে আ’লীগ না করেও পেকুয়া উপজেলা আ’লীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য মনোনীত হয়েছিলেন লায়ন মুজিবুর রহমান। এনিয়ে তৃণমূল আ’লীগ নেতাকর্মীদের মাঝে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দিলে স্থানীয় একটি পত্রিকায় পেকুয়ার আ’লীগে তারা কি ছিলেন’ শীর্ষক সংবাদ প্রকাশ হয়।
সংবাদ প্রকাশের পর তোলপাড় শুরু হয় জেলা জুড়ে। এরই মাঝে সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হয় হারবাং ইনানী হোটেলে। সেখানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন চকরিয়া-পেকুয়ার সাংসদ জাফর আলম। যার সামনের সারিতে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন লায়ন মুজিবুর রহমান। ওই সভার প্রেস বিজ্ঞপ্তির বিভিন্ন পত্রিকার নিউজে লায়ন মুজিব উপস্থিত ছিলেন বলে উল্লেখ করেন। এছাড়াও উপস্থিত একাধিক সদস্য লায়ন মুজিবুর রহমান বৈঠকে সদস্য হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বলে নিশ্চিত করেন।
সর্বশেষ চাপের মুখে রবিবার পেকুয়া উপজেলা আ’লীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক আবু হেনা মোস্তফা কামাল একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বিবৃতি প্রকাশ করেন।
সেখানে আহ্বায়ক উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ পেকুয়া উপজেলা শাখার সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটিতে জনৈক ব্যক্তির নাম নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন পত্রিকা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। তাই বিভ্রান্তি নিরসনে পেকুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক আবুহেনা মোস্তফা কামাল বিবৃতি প্রদান করেন। প্রকৃত পক্ষে পেকুয়া উপজেলা সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির ৬নং ক্রমিকের যে সদস্যকে ইঙ্গিত করে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে আসলে তিনি ওই ব্যক্তি নন। পেকুয়া উপজেলা সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির ৬ নং ক্রমিকের সদস্য হচ্ছেন পেকুয়া সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শেখের কিল্লা ঘোনা এলাকার মৃত রমিজ আহমদের পুত্র মুজিবুর রহমান।
তাদের এ প্রেস বিজ্ঞপ্তি নিয়েও রয়েছে বিভ্রান্তি। সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক চলচাতুরীর আশ্রয় নিয়েছেন বলে দাবী করেছেন অনেকে।
জানা গেছে, সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি গঠন হওয়ার পর লায়ন মুজিবুর রহমানসহ বেশ কয়েকজন সদস্য জেলা আ’লীগসহ বিভিন্ন নেতৃবৃন্দকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। এমনকি সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির পরিচিতি সভায় চকরিয়াস্থ হারবাং ইনানী রিসোর্সে চকরিয়া-পেকুয়ার সাংসদ জাফর আলমের সাথে প্রথম সারিতে উপস্থিত ছিলেন লায়ন মুজিবুর রহমান। সবার সামনে তাকে পরিচিতি করিয়ে দেন এমপি নিজেই। বৈঠকে লায়ন মুজিব নিজেকে ছাত্রলীগের নেতা বলে দাবী করেন। ওই পরিচিতি সভার ছবি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও পত্রিকায় প্রকাশও হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন না সদ্য মনোনীত করা সদর ইউনিয়নের যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান।
অথচ আহ্বায়ক আবু হেনা মুস্তফা কামাল প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে দাবী করেন, লায়ন মুজিবুর রহমানকে সদস্য মনোনীত করা হয়নি।
তার এ বক্তব্য স্থানীয় নেতাকর্মীরা চলচাতুরী বলে দাবী করেন। নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, স্থানীয় আ’লীগকে ধ্বংস করতে লায়ন মুজিবুর রহমানকে সদস্য মনোনীত করা হয়েছিল।
এদিকে গতকাল বোরবার রাতে পেকুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক আবুহেনা মোস্তফা কামালের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি সমুদ্রকন্ঠের কাছে দাবী করেন, মুজিবুর রহমান ওরফে লায়ন মুজিব একজন পরিচিত ব্যক্তি হিসেবে দলীয় সভায় ফুল দিয়েছেন।
লায়ন মুজিব তার ফেসবুক পেইজে দলীয় পদ পাওয়ার আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে একাধিক পোস্ট করেছেন। বিষয়টি জনাব আবুহেনাকে জানালে তিনি বলেন,এখানে আমার কি করার আছে?
দেশের ৬৫১ তম থানা কক্সবাজারের ‘ঈদগাঁও’
সমুদ্রকন্ঠ রিপোর্ট ॥ কক্সবাজার সদর উপজেলার পাহাড় ও উপকূল বেষ্টিত বৃহত্তর ঈদগাঁওকে আলাদা থানা ঘোষণা করা হয়েছে। ঈদগাঁওর পাঁচ ইউনিয়নের...
Discussion about this post