এম হোছাইন মেহেদী, লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম) সংবাদদাতা :
চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় মুরগির খামারে করোনার প্রভাবে ধস নেমেছে। ডিম ও মুুরগির ন্যায্য মূূল্য না পাওয়ায় এ যাবতকালের সবচেয়ে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছে জড়িত স্থানীয় উদ্যোক্তারা। এক মাসেই বন্ধ হয়ে গেছে ছোট বড় প্রায় ৬০ ভাগ মুুরগির খামার। স্থানীয় খামারিরা ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছেন প্রায় ৬ কোটি টাকার। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের দেশের প্রান্তিক পর্যায়ের খামারি ও উদ্যোক্তাদের উৎপাদিত মাছ, দুধ, ডিম ও পোল্ট্রি বাজারজাত করার উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কর্মরত প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের প্রতি নির্দেশনা থাকলেও করোনা পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত স্থানীয় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার কিছুই করার নেই বলে জানান। এতে হতাশ হয়ে পড়েছেন স্থানীয় খামারিরা। বৈশ্বিক এ দুুর্যোগে সম্ভবনাময় মুরগির খামার টিকিয়ে রাখতে বিশেষ প্রণোদনার দাবি সংশ্লিষ্টদের।
জানা যায়, লোহাগাড়ায় ছোট-বড় মুরগির খামার রয়েছে প্রায় ৫৫০ টি। তৎমধ্যে ব্রয়লার খামার ২৫০টি আর লেয়ার খামার রয়েছে প্রায় ৩০০ টি। বর্তমানে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুুরগির মাংস উৎপাদনে খামারিদের খরচ হচ্ছে ১১০ টাকা আর বিক্রি করছেন কেজি প্রতি ৮৫ টাকা করে। প্রতি পিচ ডিম উৎপাদনে খরচ পড়ছে ৬ টাকা আর বিক্রি করছেন ৫.৩০ টাকা করে। লোহাগাড়ায় উৎপাদিত মুরগির ডিম ও মুরগির মাংস স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় যায়। করোনার প্রাদুর্ভাবে বিয়ে, মেজবান, জন্মদিনসহ সামাজিক অনুুষ্ঠান, হাট-বাজার আর হোটেল-রেস্টুরেন্ট বন্ধ হয়ে গেছে। প্রয়োজনীয় ক্রেতার অভাবে ইতিমধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে ৬০ ভাগ ব্রয়লার মুরগির খামার। এতে প্রায় ৬ কোটি টাকা ক্ষতির মুখে পড়েছে বলে দাবী স্থানীয় খামারিদের। তাদের ঋণ আর দায়দেনা বাড়ছে দিন দিন। অনেকে পুঁজি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন। উপজেলায় এ পেশায় জড়িত প্রায় ৮০০’শ শ্রমিক-কর্মচারী পড়েছে আরো বিপাকে। অনেকে কর্মহীন হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। এব্যাপারে উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা অফিসের কোন সহযোগিতা পাচ্ছেন না বলে জনিয়েছেন একাধিক খামারী।
এপেশায় জড়িত এক কর্মচারী জানান, লাগাতার ক্ষতির কারণে মালিক খামার বন্ধ করে দিয়েছে। এখন বেকার হয়ে গেলাম। এখন সংসার কিভাবে চলবে জানি না।
খামারি আমানে আলম জানান, বর্তমানে প্রতিটি ডিম উৎপাদনে খরচ হচ্ছে ৬ টাকা আর বিক্রি হচ্ছে ৫.৩০ টাকা। করোনার প্রভাবে ডিমের চাহিদা কমে গেছে। এভাবে ন্যায্য মূল্য না পেলে অচিরেই মূলধন হারিয়ে খামার বন্ধ করা ছাড়া উপায় দেখছি না।
পোাল্ট্রি খামার রক্ষা জাতীয় কমিটির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমন্বয়ক তৈয়ব তাহের বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত স্বল্প সুদে ঋণ ও প্রণোদনা থেকে যদি খামারীরা বি ত হয়, তাহলে পুঁজি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে যাওয়া খামারীরা কখনো ঘুরে দাঁড়াতে পারবেনা। পোল্ট্র্রি সংশিষ্টদের প্রাণের দাবী ‘পোল্ট্রি নীতিমালা’ প্রণয়নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি। ব্রয়লার মুরগী ও ডিম নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া সহ বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে অব্যাহত অপপ্রচার রোধে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
লোহাগাড়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. নজরুল ইসলাম দেওয়ান জানান, এখন লকডাউন চলতেছে। ইয়া নফছি, ইয়া নফছি করা ছাড়া কোন উপায় নাই। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে গেলে সব ঠিক হয়ে যাবে বলে তিনি জানান।
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে অবৈধ ইটভাটায় অভিযান
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে অবৈধ ইটভাটায় অভিযা আমিনুল ইসলাম,নাইক্ষ্যংছড়িঃ অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযানে অংশ হিসাবে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুমে পাহাড়ে গড়ে উঠা...
Discussion about this post