আরফাত সানি,মোঃ শেখ রাসেল::
টেকনাফ করোনার ঝুঁকির মধ্যেও থেমে নেই মাদক পাচার। বিভিন্ন চেকপোস্টে করোনার কারণে তাল্লাশী তেমন নেই এই সুযোগ গ্রহণ করে যাচ্ছে মাদক কারবারিরা।একদিকে মাদক বিরোধী অভিযানে আইনশৃংখলা বাহিনী এবং মাদক কারবারী গ্রুপের মধ্যে বন্দুক যুদ্ধের ঘটনা ঘটেছে।পুলিশের গুলিতে একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে নিহত হয়েছে এবং ৩জন পুলিশ সদস্য আহত হয়। ঘটনাস্থল হতে অস্ত্র, ইয়াবা ও বুলেট উদ্ধার করেছে পুলিশ।
জানা যায়,৩জুলাই (শুক্রবার) রাতে প্রথম প্রহরের দিকে টেকনাফ মডেল থানা পুলিশ সদরের মহেশখালীয়া পাড়া ফিশিং ঘাটে মাদকের চালান খালাসের সংবাদ পেয়ে অভিযানে গেলে মাদক কারবারী গ্রুপের সদস্যরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করলে এএসআই কাজী সাইফুদ্দিন,কনস্টেবল মোঃ মামুন ও কামরুল হাসান আহত হয়।পরে পুলিশ কৌশলী ভূমিকা নিয়ে পাল্টা গুলিবর্ষণ করার কিছুক্ষণ পর হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল তল্লাশী করে তল্লাশী করে ১টি এলজি,১০হাজার ইয়াবা ও ৫ রাউন্ড বুলেটসহ মহেশখালীয়া পাড়ার ফজল আহমদের পুত্র আবুল কাশেম (৩২) কে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে।
এরপর তাকে দ্রুত উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসা দেওয়ার পর আরো উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার জেলা সদও হাসপাতালে রেফার করা হয়। সেখানে নেওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়। মৃত দেহ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
টেকনাফ মডেল থানার (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ মাদক উদ্ধার অভিযানে বন্দুক যুদ্ধ ও হতাহতের সত্যতা নিশ্চিত করেন বলেন, এই ধরনের রাষ্ট্র বিরোধী কর্মকান্ডে জড়িতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।
Discussion about this post