• Home
  • About Us
  • Contact us
  • Privacy policy
Sunday, January 17, 2021
দৈনিক সমুদ্রকন্ঠ
Advertisement
  • প্রথম পাতা
  • জাতীয়
  • কক্সবাজার
    • সদর উপজেলা
    • উখিয়া টেকনাফ
    • রামু উপজেলা
    • চকরিয়া ও পেকুয়া
    • মহেশখালী কুতুবদিয়া
  • আন্তর্জাতিক
  • অপরাধ
  • চট্রগ্রাম
  • পার্বত্য চট্টগ্রাম
  • বিনোদন
  • খেলা
  • প্রযুক্তি
  • বিশেষ প্রতিবেদন
  • সম্পাদকীয়
  • অন্য খবর
    • শিল্প ও সাহিত্য
    • পর্যটন
    • শিক্ষাঙ্গন
    • আত্ম উন্নয়ন
    • কৌতুক
    • পরিবেশ
    • স্বাস্থ্য
    • নারী
    • কলাম
No Result
View All Result
  • প্রথম পাতা
  • জাতীয়
  • কক্সবাজার
    • সদর উপজেলা
    • উখিয়া টেকনাফ
    • রামু উপজেলা
    • চকরিয়া ও পেকুয়া
    • মহেশখালী কুতুবদিয়া
  • আন্তর্জাতিক
  • অপরাধ
  • চট্রগ্রাম
  • পার্বত্য চট্টগ্রাম
  • বিনোদন
  • খেলা
  • প্রযুক্তি
  • বিশেষ প্রতিবেদন
  • সম্পাদকীয়
  • অন্য খবর
    • শিল্প ও সাহিত্য
    • পর্যটন
    • শিক্ষাঙ্গন
    • আত্ম উন্নয়ন
    • কৌতুক
    • পরিবেশ
    • স্বাস্থ্য
    • নারী
    • কলাম
No Result
View All Result
দৈনিক সমুদ্রকন্ঠ
No Result
View All Result
প্রথম পাতা জাতীয়

বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত: বাংলাদেশিদের হত্যাকাণ্ডের সংখ্যা আরও বেড়েছে ছয় মাসে

সমুদ্র কণ্ঠ প্রকাশক সমুদ্র কণ্ঠ
July 1, 2020
মধ্যে জাতীয়, টপ নিউজ
A A
0
বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে ভারতীয় বাহিনী বিএসএফ
100
দেখেছেন
Share on FacebookShare on Twitter

বিবিসি বাংলা-
চলতি ২০২০ সালের প্রথম ছয় মাসে সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষীদের গুলি ও নির্যাতনে বাংলাদেশি নাগরিকদের মৃত্যুর ঘটনা গত বছরের তুলনায় বেড়েছে বলে মানবাধিকার সংগঠনগুলোর সংগ্রহ করা তথ্যে দেখা গেছে।
এসব তথ্য বলছে, জানুয়ারি থেকে জুন মাস পর্যন্ত সীমান্তে ২৫ জন বাংলাদেশি নাগরিক নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ২১ জনেরই মৃত্যু হয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বা বিএসএফের সৈন্যদের গুলিতে।
মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা বাংলাদেশের অন্যতম বেসরকারি সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্র এই তথ্য জানিয়েছে। বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় কয়েকটি সংবাদপত্রের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এই রিপোর্ট তৈরি করেছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র বা আসক।
বিশ্লেষকরা মনে করেন, বিগত বেশ কয়েক বছর ধরেই বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার সম্পর্কে উন্নতি ঘটলেও তার প্রতিফলন দেখা যায়নি দুই দেশের সীমান্তে। সীমান্তহত্যা বন্ধে দুই দেশের মধ্যে কয়েক দফা আলোচনা হলেও তাতে সীমান্ত পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটেনি, বরং মাঝে কিছুটা কমার পর সীমান্তে হত্যাকাণ্ডের সংখ্যা আবার বেড়ে চলেছে।
তবে বিএসএফ কর্মকর্তারা বিবিসি বাংলাকে জানান যে সীমান্তে অপরাধের সঙ্গে জড়িতরা ভারতীয় প্রহরীদের ওপরে আক্রমণ করলে তবেই কেবল প্রাণ বাঁচাতে তারা গুলি চালিয়ে থাকেন।
সীমান্তে বাড়ছে হত্যাকাণ্ড
গত বছরের প্রথম ছয়মাসে সীমান্তে যতগুলো হত্যাকাণ্ড হয়েছে, এই বছরের প্রথম ছয়মাসে সেই সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে।
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে জুন মাসের মধ্যে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে ১৮ জন বাংলাদেশি নাগরিকের মৃত্যু হয়েছিল, আর নির্যাতনে মারা গেছেন দুই জন।
অথচ ২০২০ সালের প্রথম ছয়মাসে সীমান্তে হত্যাকাণ্ডের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫ জনে।
অন্যদিকে, ২০১৮ সালের তুলনায় ২০১৯ সালে সীমান্ত হত্যাকাণ্ডের সংখ্যা তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়েছিল।
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৯ সালের পুরো সময়টায় ভারতের সীমান্তরক্ষা বাহিনী বা বিএসএফ’র হাতে প্রাণ হারিয়েছিলেন ৪৩ জন বাংলাদেশি – যাদের মধ্যে ৩৭ জন প্রাণ হারিয়েছিলেন গুলিতে, আর বাকি ৬ জনকে নির্যাতন করে মারা হয়।
কিন্তু ঠিক এক বছর আগে অর্থাৎ ২০১৮ সালে সীমান্তে বিএসএফ-এর হাতে প্রাণ হারিয়েছেন এমন বাংলাদেশি নাগরিকের সংখ্যা ছিল ১৪ জন। সে হিসেবে মাত্র এক বছরের ব্যবধানে ২০১৯ সালে প্রাণহানির সংখ্যা প্রায় তিন গুণ বেড়ে যায়।
চলতি বছরে সবচেয়ে বেশি সীমান্ত হত্যাকাণ্ড ঘটেছে রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের জেলাগুলোয়।
অন্যদিকে, জুন মাসেই যশোরে বিএসএফের গুলিতে একজন নিহত আর একজন আহত হয়েছেন।
সেখানকার স্থানীয় সাংবাদিক সাজেদ রহমান বিবিসি বাংলাকে বলেন, যশোরের বেনাপোল সীমান্তে যে এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া নেই কিংবা নদী এলাকা, সেখানেই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা বেশি ঘটছে।
২০১৯ সালের জুলাই মাসে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জাতীয় সংসদে জানিয়েছিলেন যে গত ১০ বছরে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে বিএসএফের হাতে মোট ২৯৪ জন বাংলাদেশি নিহত হন।
বছরভিত্তিক সরকারি হিসেব অনুযায়ী, ২০০৯ সালে সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষীদের হাতে মারা যান ৬৬ জন বাংলাদেশি, ২০১০ সালে ৫৫ জন, ২০১১ ও ২০১২ সালে ২৪ জন করে, ২০১৩ সালে ১৮ জন, ২০১৪ সালে ২৪ জন, ২০১৫ সালে ৩৮ জন, ২০১৬ সালে ২৫ জন, ২০১৭ সালে ১৭ জন এবং ২০১৮ সালে ৩ জন মারা যান সীমান্তে।
তবে বেসরকারি সংস্থাগুলোর হিসাবে সীমান্তে হত্যার সংখ্যা অনেক বেশি।
সীমান্তে হত্যা বন্ধ হয় না কেন?
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সীমান্ত হত্যাকাণ্ড বন্ধে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর শীর্ষ পর্যায় থেকে শুরু করে মন্ত্রী পর্যায়েও আলোচনা হয়েছে।
সীমান্তে হত্যা বন্ধ করার লক্ষ্য নিয়ে ২০১৮ সালের এপ্রিলে একটি দ্বিপাক্ষিক চুক্তি হয় দুই দেশের মধ্যে। সেখানে সীমান্ত অতিক্রমের ঘটনায় প্রাণঘাতী অস্ত্রের ব্যবহার না করতে একমত হয় দুই দেশ।
কিন্তু সেই সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন দেখা যায়নি সীমান্তে।
যশোরের সাংবাদিক সাজেদ রহমান বলেন, “আমাদের এখানে যারা হত্যার শিকার হয়েছেন, তাদের ৯০ শতাংশ গরু আনতে ভারতে গিয়েছিলেন। আর ১০ শতাংশের বিরুদ্ধে চোরাচালানের অভিযোগ রয়েছে। সবগুলো গুলির ঘটনা ঘটেছে রাতের বেলায়।”
বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-এর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফয়জুর রহমান বিবিসি বাংলাকে বলেন, সংখ্যাগত দিক থেকে দেখলে এ রকম ঘটনা হঠাৎ করে বেড়ে গেছে মনে হতে পারে।
“কিন্তু এই অপরাধ তো সীমান্তের একটা নৈমিত্তিক ঘটনা, সে কারণে পদ্ধতি অনুযায়ী ওদের সাথে আমাদের যে যোগাযোগ করার কথা, সেটা সবসময়েই চলমান রয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “সীমান্ত মানেই কিছু অপরাধ ঘটে। সেগুলো বন্ধ করার জন্য আমাদের কার্যক্রম যা যা করার, সেটা আমরা নিয়মিত করে যাচ্ছি।”
গুলি করে হত্যা করা ছাড়া কি আর কোন বিকল্প নেই?
সীমান্তে হত্যা শূন্যতে নামিয়ে আনা আর প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার না করার ব্যাপারে দুই দেশের সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে অনেকবার সমঝোতা হয়েছে। কিন্তু তারপরেও সীমান্তে প্রাণঘাতী অস্ত্রের ব্যবহার চলছে।
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের জ্যেষ্ঠ উপ-পরিচালক নীনা গোস্বামী বলছেন, “দুই দেশের সরকারের নানা বৈঠকে সীমান্তে হত্যা জিরোতে নামিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি আমরা দেখেছি। কিন্তু সেটার ব্যত্যয় সব সময়েই ঘটছে, যা উদ্বেগজনক।”
বিবিসি বাংলাকে তিনি বলেন, “সীমান্তে যাদের নিয়োগ দেয়া হয়, তাদের পর্যন্ত এই প্রতিশ্রুতিগুলোর বার্তা যায় কি-না, তা নিয়ে আমাদের সন্দেহ রয়েছে। নাকি এটা মিটিংয়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে?”
তিনি বলেন, দারিদ্র বা ব্যবসা-বাণিজ্যের কারণে মানুষ অনেক সময় সীমান্ত পারাপারের চেষ্টা করে। কিন্তু সেখানে তাদের গুলি করে হত্যা না করে সহনশীল আচরণের মাধ্যমে তাদের বিরত করা উচিত।
তাঁর মতে, সেটা নির্ভর করে সীমান্তে যারা দায়িত্বরত রয়েছেন, তারা কেমন আচরণ করেন – তার ওপর।
“সরকারের উচ্চপর্যায়ে কাগজে-কলমে মিটিংয়ে যেসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, সেটাকে বাস্তব রূপ দেয়ার জন্য যা যা করা দরকার, দুই পক্ষ থেকে যদি সেটা করা হতো, তাহলে সীমান্তে এমন হত্যাকাণ্ডের মতো ঘটনা আর ঘটতো না,” বলছেন নীনা গোস্বামী।
বিজিবির মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফয়জুর রহমান বলছেন, “আমরা তো সার্বক্ষণিকভাবেই সীমান্তে নিয়োজিত আছি। সীমান্তহত্যা বন্ধে সারাবছর ধরেই আমাদের কর্মকাণ্ড চলমান আছে। বিএসএফের সাথে আমাদের যোগাযোগও সবসময় চলমান আছে। বর্ডার কিলিংয়ের ব্যাপারে তাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ, পতাকা বৈঠক – সেগুলো নিয়মিতভাবে করা হয়।”
বাংলাদেশিরাও যেনো অবৈধভাবে সীমান্তে না যায় সে ব্যাপারেও সীমান্ত এলাকার মানুষকে সতর্ক করার কর্মসূচি জোরদার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিজিবি কর্মকর্তারা।
জানা গেছে, এক সময় ভারত থেকে আসা গরুকে বাংলাদেশের খাটাল ব্যবস্থার মাধ্যমে আইনি একটা ভিত্তি দেয়া হতো। কিন্তু গত ছয়মাস ধরে সীমান্ত এলাকার খাটালগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
সীমান্ত হত্যা নিয়ে যা বলছে বিএসএফ
সীমান্তে গুলি চালানোর ঘটনা প্রসঙ্গে কলকাতায় বিবিসির সংবাদদাতা অমিতাভ ভট্টশালীকে বিএসএফ কর্মকর্তারা বলছেন যে পাচারকারীরা প্রহরীদের ওপরে আক্রমণ করলে তবেই “প্রাণ বাঁচাতে” তারা গুলি চালিয়ে থাকে।
তাদের দাবি, যখন থেকে নন-লিথাল ওয়েপন, অর্থাৎ প্রাণঘাতী নয় এমন অস্ত্র ব্যবহার করতে শুরু করেছে বিএসএফ, তখন থেকেই বিএসএফ সদস্যদের ওপরে পাচারকারীদের হামলার সংখ্যাও বেড়ে গেছে।
কর্মকর্তারা বলছেন, সাধারণত দা, কাটারির মতো দেশীয় অস্ত্র নিয়ে যেমন প্রহরারত বিএসএফ সদস্যদের ওপরে আক্রমণ করা হয়, তেমনই আগ্নেয়াস্ত্রও ব্যবহার করা হয় কখনও কখনও।
বিএসএফ বলছে, এই বছরের প্রথম ছয়মাসে বিএসএফের ওপর হামলার ঘটনায় ১২ জন আহত হয়েছে, আর ২০১৯ সালে এ রকম হামলায় আহত হয়েছিলের ৩৭ জন।
বিভিন্ন পণ্যের চোরাচালান এবং গুলিতে মৃত্যুর ঘটনা ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের যে অঞ্চলে বেশি হয়ে থাকে, সেই দক্ষিণ বঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল এস এস গুলেরিয়া বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, “সীমান্তে গুলি কেন চলে, সেই প্রশ্নের জবাব আমরা আগেও নানা স্তরে দিয়েছি।”
“আমরা এবার পাল্টা প্রশ্ন করতে চাই, যে রাতের অন্ধকারে কারা আন্তর্জাতিক সীমান্তে আসে? কেনই বা আসে? বাংলাদেশের গণমাধ্যমে এদের যে গরু-ব্যবসায়ী বলা হয়, আসলেই কি এরা ব্যবসায়ী না পাচারকারী?”
সীমান্তরক্ষীদের সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের ভেতরে বিজিবি-র প্রায় নাকের ডগায় পাচার হয়ে যাওয়া গরু কেনাবেচার হাট বসে। সেগুলো চলতে দিয়ে কী পাচারকারীদেরই উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে না?
মি. গুলেরিয়া জানান, “বিজিবির সঙ্গে আমরা নিয়মিত তথ্য আদানপ্রদান করে থাকি ফেন্সিডিল বা সোনা পাচার হওয়ার সময়ে আটক করা হয়। এছাড়া পাচার হওয়ার সময়ে কত গরু আমরা আটক করি, সেই তথ্যও তাদের দিয়ে থাকি। কিন্তু বিজিবি কত গরু আটক করল, সেই তথ্য কিন্তু আমাদের দেওয়া হয় না।”
তবে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বলা হয় যে সীমান্ত হত্যার ঘটনায় বিএসএফ-এর যুক্তি গ্রহণযোগ্য নয়।
বিজিবি কর্মকর্তারা বলছেন, প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের পর পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রতিবাদ ও উদ্বেগ তুলে ধরা হয়।
বিএসএফ সৈন্যদের উপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলার অভিযোগ ‘অবিশ্বাস্য’ বলেও মন্তব্য করেন বাংলাদেশের কর্মকর্তারা।
রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাব
নিরাপত্তা বিশ্লেষক এবং বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব পিস অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজের সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল এ এন এম মুনীরুজ্জামান বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, সীমান্ত হত্যা বন্ধ না হওয়ার সবচেয়ে বড় কারণ রাজনৈতিক ইচ্ছার ঘাটতি।
“এটা বন্ধে রাজনৈতিক সদিচ্ছা নাই। কারণ সর্বোচ্চ রাজনৈতিক পর্যায়ে আলাপ আলোচনা হয়েছে, সেখান থেকে আশ্বাস দেয়া হয়েছে এটা আর হবে না। কিন্তু একজন প্রাক্তন সৈনিক হিসাবে আমি বলতে পারি, যদি সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে পরিষ্কার আদেশ থাকে, তাহলে অবশ্যই সেটা না মানার অবকাশ নেই।”
তিনি বলেন, “বাইরে আমরা যেটাই শুনতে পাই, সীমান্তরক্ষীদের কাছে সেই ধরণের কড়া আদেশ নিশ্চয়ই পৌঁছে নাই। তারা যদি নির্দেশ দিয়ে থাকতো, সেটা যদি অমান্য হতো, তাহলে সেটার জন্য তাদের আইনি প্রক্রিয়ায় নিশ্চয়ই জবাবদিহি করতে হতো। সেরকম কিছুও আমরা শুনি না বা প্রতিক্রিয়া দেখতে পাই না।”
জেনারেল মুনীরুজ্জামান পরামর্শ দিচ্ছেন, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আরও জোরালো ভাষায় এ নিয়ে বলতে হবে। কারণ যারা হত্যার শিকার হচ্ছেন, তারা বাংলাদেশের নাগরিক। রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এ নিয়ে বারবার জোর দিয়ে আলাপ করা উচিত।
তিনি বলেন, যদি চোরাচালান হয়, বা বিএসএফের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে, তাহলে তাকে গুলি করে মেরে না ফেলে পায়ে গুলি করে বা ভিন্ন উপায়েও ঠেকানো যায়। তাকে আটক করে জেল জরিমানা করা যায়। কিন্তু এক্ষেত্রে সেটা দেখা যায় না।
“সীমান্তে চোরাচালান হয় না অথবা গরু চালান হয় না, সেটা কেউ বলতে পারবে না। তবে সেটা শুধু বাংলাদেশের লোকই করে না। (চোরাচালান হয় না) যদি ওই পারের সহযোগী না থাকে। চোরাচালান বন্ধ করতে হলে উভয় অংশেই ব্যবস্থা নিতে হবে। কিন্তু গুলি করে এভাবে হত্যা করার পক্ষে কোন যুক্তি থাকতে পারে না,” বলেন তিনি।

ShareTweet
আগের সংবাদ

বাসার ফ্রিজে রাখা হলো করোনা রোগীর লাশ!

পরবর্তী সংবাদ

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে আবারও ভেসে এল নাড়িভুঁড়ি বের হওয়া মৃত ডলফিন

সমুদ্র কণ্ঠ

সমুদ্র কণ্ঠ

সম্পর্কিত সংবাদ

বর্ষার আগেই প্রত্যাবাসন শুরু করতে চায় বাংলাদেশ

বর্ষার আগেই প্রত্যাবাসন শুরু করতে চায় বাংলাদেশ

প্রকাশক সমুদ্র কণ্ঠ
January 15, 2021
0

  বর্ষার আগেই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করতে চায় বাংলাদেশ। আগামী সপ্তাহে অনুষ্ঠেয় বাংলাদেশ, চীন ও মিয়ানমারের মধ্যে পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের...

বিএসএফের বুলেটে আবারো বাংলাদেশি নিহত

বিএসএফের বুলেটে আবারো বাংলাদেশি নিহত

প্রকাশক সমুদ্র কণ্ঠ
January 15, 2021
0

  লালমনিরহাট সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষা বাহিনীর (বিএসএফ) বিরুদ্ধে রাবার বুলেট ছুঁড়ে আবুল কালাম (৩০) নামে এক বাংলাদেশি যুবককে হত্যার অভিযোগ...

প্রান্তিক লবন চাষিদের ঋণ দেবে বিসিক

প্রান্তিক লবন চাষিদের ঋণ দেবে বিসিক

প্রকাশক সমুদ্র কণ্ঠ
January 8, 2021
0

প্রান্তিক লবন চাষিদেরকে স্বল্প সুদে ঋণ প্রদানের ব্যবস্থা করেছে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক)। শুক্রবার (৮ জানুয়ারি) এক...

কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের আওতাধীন কার্যএলাকা বেড়ে হয়েছে ৬৯০.৬৭ বর্গকিলোমিটার, প্রজ্ঞাপন জারি

২০২২ সালের মার্চেই শেষ হবে প্রধান সড়কের কাজ, চলছে প্রস্তুতি

প্রকাশক সমুদ্র কণ্ঠ
January 7, 2021
0

আমিনুল ইসলামঃ বহুল প্রত্যাশিত কক্সবাজার প্রধান সড়কের কাজ শুরু হচ্ছে চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ে । যা শেষ হবে পরবর্তী বছরের...

৪২৫টাকায় পাওয়া যাবে করোনার ভ্যাকসিন: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

বাংলাদেশ কবে ভ্যাকসিন পাবে তা এখনই সুনির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না: ভারতীয় হাই কমিশনার

প্রকাশক সমুদ্র কণ্ঠ
January 7, 2021
0

  ভ্যাকসিন রপ্তানিতে কোন বাধা নেই। কিন্তু বাংলাদেশ কবে সেরামের উৎপাদিত অক্সফোর্ড-এস্ট্রোজেনেকা’র ভ্যাকসিন পাবে তা এখনই সুনির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে...

পরবর্তী সংবাদ
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে আবারও ভেসে এল নাড়িভুঁড়ি বের হওয়া মৃত ডলফিন

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে আবারও ভেসে এল নাড়িভুঁড়ি বের হওয়া মৃত ডলফিন

পিপিই দুর্নীতিতে স্লোভেনীয় অর্থমন্ত্রী গ্রেপ্তার, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ

পিপিই দুর্নীতিতে স্লোভেনীয় অর্থমন্ত্রী গ্রেপ্তার, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ

বাংলাদেশে করোনায় ষাটোর্ধদের মৃত্যু বেশি

বাংলাদেশে করোনায় ষাটোর্ধদের মৃত্যু বেশি

কক্সবাজারে লকডাউন নিয়ে ধুম্রজাল

কক্সবাজারে লকডাউন নিয়ে ধুম্রজাল

উখিয়ার পাতাবাড়ী ইউনিয়ন বাস্তবায়ন কমিটি গঠিত

উখিয়ার পাতাবাড়ী ইউনিয়ন বাস্তবায়ন কমিটি গঠিত

Discussion about this post

Stay Connected test

  • 79 Followers
  • 39.4k Followers
  • 93.2k Subscribers
  • 22.9k Followers
  • 99 Subscribers

সদ্য পাওয়া

No credit check payday advances. Fast loans unemployed

January 17, 2021

Pay Loans Denver CO On Line No Credit Check Instant Approval day

January 17, 2021

Find the pay that is best Day Loans in Indianapolis, IN

January 17, 2021

Loans without having any credit checks. Compare loans if you have low, bad or credit that is bad.

January 17, 2021
Facebook Twitter Google+ Youtube RSS
দৈনিক সমুদ্রকন্ঠ

।।সমুদ্রকণ্ঠ কক্সবাজার জেলার প্রিন্ট ও অনলাইন ভিত্তিক পত্রিক।।

সম্পাদক
মঈনুল হাসান পলাশ

যোগাযোগঃ
অফিসঃ৩য় তলা, হোটেল সৈকত, প্রধান সড়ক, কক্সবাজার ৪৭০০
মোবাইলঃ
ই-মেইলঃ@gmail.com

Follow Us

Browse by Category

  • Uncategorized
  • অন্য খবর
  • অপরাধ
  • অর্থনীতি
  • আত্ম উন্নয়ন
  • আন্তর্জাতিক
  • উখিয়া টেকনাফ
  • কক্সবাজার
  • কলাম
  • কৌতুক
  • খেলা
  • চকরিয়া ও পেকুয়া
  • চট্রগ্রাম
  • জাতীয়
  • টপ নিউজ
  • দূঘটনা
  • নারী
  • পরিবেশ
  • পর্যটন
  • পার্বত্য চট্টগ্রাম
  • প্রযুক্তি
  • বিনোদন
  • বিশেষ প্রতিবেদন
  • মহেশখালী কুতুবদিয়া
  • মুখোমুখি
  • রাজনীতি
  • রামু উপজেলা
  • শিক্ষাঙ্গন
  • শিল্প ও সাহিত্য
  • সংগঠন সংবাদ
  • সদর উপজেলা
  • সদর উপজেলা
  • সম্পাদকীয়
  • স্বাস্থ্য

Recent News

No credit check payday advances. Fast loans unemployed

January 17, 2021

Pay Loans Denver CO On Line No Credit Check Instant Approval day

January 17, 2021

©২০১২-২০২১ পর্যন্ত সর্বসত্ত্ব সংগৃহীত। ডিয়াজাইনঃআমিনুল ইসলাম.

No Result
View All Result
  • প্রথম পাতা
  • জাতীয়
  • কক্সবাজার
    • সদর উপজেলা
    • উখিয়া টেকনাফ
    • রামু উপজেলা
    • চকরিয়া ও পেকুয়া
    • মহেশখালী কুতুবদিয়া
  • আন্তর্জাতিক
  • অপরাধ
  • চট্রগ্রাম
  • পার্বত্য চট্টগ্রাম
  • বিনোদন
  • খেলা
  • প্রযুক্তি
  • বিশেষ প্রতিবেদন
  • সম্পাদকীয়
  • অন্য খবর
    • শিল্প ও সাহিত্য
    • পর্যটন
    • শিক্ষাঙ্গন
    • আত্ম উন্নয়ন
    • কৌতুক
    • পরিবেশ
    • স্বাস্থ্য
    • নারী
    • কলাম