করোনা মহামারীতে বিধ্বস্ত গোটা পৃথিবী। আর এই অবস্থায় ভারত বিরোধী অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে ইসলামিক স্টেট।
জানা গিয়েছে, এই করোনা আবহেই ইসলামিক স্টেটের অনলাইন ম্যাগাজিন ‘ভয়েস অফ হিন্দ’ নামের একটি প্রকাশনায় তারা ভারতবিরোধী কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, এই করোনা মহামারীকে কাজে লাগিয়ে ভারতের উপর আক্রমণ হানার জন্য ওই ইসলামিক স্টেট তাদের সমর্থকদের আহ্বানও জানিয়ে আসছে।
এই বিষয়ে সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম ‘ইন্ডিয়া টুডে’র তরফে ‘ভয়েস অফ হিন্দ’ ম্যাগাজিনের দুটি সংস্করণ প্রকাশ করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, ইংরাজি ভাষায় প্রকাশিত ১৭ পৃষ্ঠার ওই ম্যাগাজিনটি ভারতে লকডাউন শুরুর আগে প্রকাশিত হয়েছিল এবং সেখানে বিশ্বাসঘাতক ভারতীয় মুসলিমদের হত্যা করার কথাও বলা হয়েছে। এছাড়াও ভারতীয় মুসলিমরাই পৃথিবীতে করোনাভাইরাস ছড়িয়েছে বলে দোষারোপও করা হয়েছে।
এখানেই শেষ নয়, অনলাইনে প্রকাশিত ওই ম্যাগাজিনের ভিতরে রয়েছে নিজামউদ্দিনের মারকাজ অনুষ্ঠানে উপস্থিতিদের একটি চিত্র। এছাড়াও রয়েছে দিল্লির দাঙ্গার অন্যতম একটি ছবি। ম্যাগাজিনের প্রথম পৃষ্ঠায় ‘লকডাউন সংস্করণ’ নামক একটি প্রচ্ছদে রয়েছে ভারতীয় বিশ্বাসঘাতক মুসলিমদের নির্মূল করার বিষয়। যেখানে বিশ্বাসঘাতকদের সমূলে ধ্বংস করতে অন্যান্য ইসলামিক রাষ্ট্রগুলিকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার ব্যাপারে উৎসাহ প্রকাশ করা হয়েছে।
শুধু তাই নয়, ওই ম্যাগাজিনের প্রতিটা পৃষ্ঠা ওল্টালে কীভাবে শত্রুদের শেষ করে দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে তা জানতে পারবে সকলে।
‘ভয়েস অফ হিন্দ’ নামক প্রকাশনায় আরও বলা হয়েছে, “কাফেরদের মেরে ফেলার সুযোগ কখনও মিস করবেন না। সেজন্য নিজেকে সর্বদা সশস্ত্র রাখুন।”
“দ্য ইসলামিক স্টেট প্রকাশনায় বলা হয়েছে,” দড়ি এবং তার বিশ্বাসঘাতকদের দমবন্ধ করার জন্য প্রস্তুত রাখুন। এছাড়াও তাদের সহজেই পিটিয়ে হত্যা করতে পারে এমন কাঁচের মতো কোনও ধারালো বস্তু বা যন্ত্রপাতি নিজের কাছে রাখুন।” এখানেই শেষ নয়, বিশ্বাসঘাতকদের মধ্যে এই করোনা ভাইরাস আরও বেশি করে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্যও প্রলুব্ধ করা হয়েছে।
ওই ম্যাগাজিনের ‘লকডাউন সংস্করণ’ হিসেবে ‘মাওলানা সাদ’ ও ‘জামায়াতের’ নামকরণ করা হয়েছে। এবং করোনা ভাইরাস দ্রুত ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য তাদের প্রশংসাও করা হয়েছে। ওই ম্যাগাজিনে মুসলিমদেরকে দিল্লির দাঙ্গার সঙ্গে জড়িত জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়ার পড়ুয়াদের গ্রেফতারের ঘটনার প্রতিশোধ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, গত জানুয়ারি মাসে দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল তিন সন্দেহভাজনকে সন্ত্রাসবাদীকে গ্রেফতারে মধ্য দিয়ে দিল্লিতে একটি ইসলামিক স্টেট (আইএস) সন্ত্রাসবাদের মডিউল ফাঁস করেছিল। সেই থেকে, ভারতীয় এজেন্সিগুলি কেরল ও কর্ণাটকে একটি ক্র্যাকডাউন শুরু করেছে। ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলির বিশ্বাস, আইএস টেলিগ্রাম চ্যানেল এবং সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে তাদের কাজকর্ম চালিয়ে যায়।
মিয়ানমারে ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ানো উইরাথুর সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ
মিয়ানমারে ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ানো বিতর্কিত বৌদ্ধ ভিক্ষু আশ্বিন উইরাথুর সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানায়, রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে...
Discussion about this post