মানসিকতার বদল হয়ত আসবে তাঁদের হাত ধরেই। নতুন যুগের ভোরে তাঁদের হাত ধরেই মানুষ বুঝবেন, ব্যক্তি যদি ব্যক্তিকেন্দ্রিক হয়ে বাঁচেন, তবে সমষ্টির ব্যক্তিত্ব সত্যিই থাকে না। সেই ভাবনায় ভর করেই মানুষের প্রকৃত মানে খুঁজে বের করছেন এঁরা।তাই করোনার আতঙ্ক পেরিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন এস.ও.এফ ফাউন্ডেশনের তরুণরা। সুযোগ পেলে অসহায়ের পাশে দাঁড়ানোর এক আপ্রাণ চেষ্টা তাদের৷
রবিবার ও সোমবার রাতে। মোবাইলের নিভু নিভু আলোতে দেখা গেল বেশ কিছু তরুণকে কক্সবাজারের আশ-পাশ এলাকার ভারসাম্যহীনদের মাঝে খাবার বিতরণ করছে। কাছে গিয়ে জানা যায় এস.ও.এফ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে কক্সবাজার জেলার সদর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড জানার ঘোনা এলাকার বেশ কিছু তরুণদের সহযোগিতায় এই উদ্যোগ৷ ভারসাম্যহীনদের ডিম মুরগী দিয়ে বিরিয়ানি খাওয়ালেন। বাড়িতে রান্না করা বিরিয়ানির তরুণরা ভারসাম্যহীনের হাতে তুলে দিয়ে শতভাগ মনের তৃপ্তি নিয়ে বাড়ি ফিরে। এবং বুধবার তাদের নিজ এলাকায় সবচেয়ে হতদরিদ্রদের মধ্যে ত্রাণ উপহার দেন তারা৷
এস.ও.এফ ফাউন্ডেশনের সভাপতি হোসাইন মোহাম্মদ ইউসুপ জানান,”সত্য বলতে ভারসাম্যহীন ও ছিন্নমূলের পাশে দাড়ানোর অনুভূতিটা অন্যরকম। ঝড় বৃষ্টি আমাদের গায়ে লাগেনি লেগেছে ভারসাম্যহীনদের ভালবাসা ও টান।
ধন্যবাদ যারা এস.ও.এফ ফাউন্ডেশন এর পাশে ছিলেন এবং আরো ধন্যবাদ যারা মেধা,শ্রম ও ডোনেট করেছেন৷ অনুভূতি প্রকাশ করার মতো ভাষা নেই, আমরা চাইলে সেসব মানুষের পাশে সবসময় দাঁড়াতে পারব না৷ আমরা শুধুমাত্র একদিন দাড়িয়ে আমাদের মতো হাজারো যুবককে অনুপ্রেরিত করতে পারব ভারসাম্যহীন ও ছিন্নমূলদের পাশে থাকার জন্য৷ আমরা চাইলেও টাকার জন্য করত পারব না এরকম প্রজেক্ট, চাইলে সম্ভব কীভাবে সম্ভব সেই পথটা দেখিয়ে দিতে পারব। কত ছ্যাছড়ামী, কত নিচু হতে হয় মানুষের জন্য কাজ করতে, এগুলোকে কীভাবে পিছনে পেলে এগিয়ে যেতে হবে দেখিয়ে দিতে পারব সেইটা৷
ধন্যবাদ , যারা মেধা, শ্রম , ডোনেট ও বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করে আমাদের এই কাজগুলোকে সহজ করে দিয়েছেন তাদের আবারও ধন্যবাদ৷
আমরা সবসময়ই চেষ্টা করসি আমাদের অবসর সময়টা মানুষের পাশে দাড়ানোর জন্য, আপনাদের ভালবাসা আমাদের অনুপ্রেরণা ।
জয় হউক আপনাদের মানবতা ও ভালবাসা। “
এস. ও.এফ ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন জয় জানান, “দিনশেষে ভারসাম্যহীনদের হাসিটা শত দুঃখ ভূলিয়ে দেয়, ভূলিয়ে দেয় আমাদের বিন্দু বিন্দু অহংকার ৷
মনে রাখতে হবে তারাও মানুষ, আজ ভারসাম্যহীন ও ছিন্নমূলদের নিয়ে আমাদের কার্যক্রম শেষ যদি আপনাদের পাশে পাই তাহলে আবার শুরু করার চেষ্টা করব ,ইনশাআল্লাহ ।
আরো মনে রাখতে হবে, কাফনের পকেট নেই৷
আপনাদের ভালবাসা আমাদের দায়িত্ব৷ আমরা আমাদের দায়িত্ব পালন করসি৷ আমাদের বাহ বাহ দেওয়ার দরকার নেই৷ সবসময় আপনারা ভালবাসা ও অনুপ্রেরণা দেবেন আমরা সেইটা আমরা দায়িত্ব মনে করে পালন করব৷আপনাদের ভালবাসা আমাদের দায়িত্ব ও অনুপ্রেরণা৷ সবসময়ই আমাদের পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ৷
উল্লেখ্যঃআগামী ৪ তারিখ এস.ও.এফ ফাউন্ডেশন প্রতিষ্টা হওয়ার পর থেকেই এসএসসি সংবর্ধনা, বৃক্ষরোপন ও উপহার,শিশু, হাফেজ ও বৃদ্ধদের জন্য বিরানি উপহার, কবরস্থান পরিষ্কার, রাস্তা সংস্করণ, কক্সবাজার সরকারী কলেজের অধ্যক্ষকে বিদায় সংবর্ধনা ও ভারসাম্যহীন ও অসহায়দের পাশে দাড়ানোর তিনদিনের প্রজেক্টসহ মাত্র একমাসে মোট ৭ টি বেশ কিছু সামাজিক কাজকর্মের মধ্যে ছিল। এছাড়াও আগামীদিনের জন্য বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়ে এগোচ্ছে এস.ও.এফ ফাউন্ডেশন৷
Discussion about this post