করোনার কাছে হার মেনে না ফেরার দেশে নাট্য ও চলচ্চিত্র জগতের বিশিষ্ট অভিনেতা কে এস ফিরোজ। রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) বুধবার (৯ সেপ্টেম্বর) ভোর ৬টা ২০ মিনিটে তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন। করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর তিনি সেখানে ভর্তি ছিলেন।
কেএস ফিরোজের বড় মেয়ে নাদিয়া ফিরোজ গণমাধ্যমকে জানান, ‘বাবার (কে এস ফিরোজ) নিউমোনিয়াও ছিল। ফলে ফুসফুসে ইনফেকশন হয়। বুধবার বাদ জোহর বনানী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।’
কে এস ফিরোজের পুরো নাম খন্দকার শহীদ উদ্দিন ফিরোজ। তিনি ১৯৪৬ সালের ৭ জুলাই জন্মগ্রহণ করেন। বরিশালের উজিরপুরের মশাং গ্রামে তাদের আদি নিবাস হলেও ফিরোজের জন্ম ঢাকার লালবাগে। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী মাধবী ফিরোজ এবং তিন মেয়ে রেখে গেছেন।
অভিনয়ে আসার আগে তার কর্মজীবন শুরু করেন সেনাবাহিনীতে ১৯৬৭ সালে। এরপর ১৯৭৭ সালে মেজর হিসেবে অবসর নেন।
নাট্যদল ‘থিয়েটার’–এর সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে অভিনয়ে কে এস ফিরোজের পথচলা শুরু। এই দলের হয়ে তিনি অভিনয় করেছেন ‘সাত ঘাটের কানাকড়ি’, ‘কিং লিয়ার’ ও ‘রাক্ষসী’ নাটকে। সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলামের নাট্যরূপে কামাল উদ্দিন নীলুর নির্দেশনায় ‘কিং লিয়ার’ নাটকে নাম ভূমিকায় অভিনয় করে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছিলেন কে এস ফিরোজ। টিভিতে তিনি প্রথম অভিনয় করেন দিলারা জামানের স্বামী শফিউজ্জামানের রচনায় ও জামান আলী খানের প্রযোজনায় ‘দীপ তবুও জ্বলে’ নাটকে।
কে এস ফিরোজ প্রথম ‘লাওয়ারিশ’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। এরপর বহুদিন বিরতি নেন চলচ্চিত্র থেকে। আবু সাইয়ীদের ‘শঙ্খনাদ’, ‘বাঁশি’, মুরাদ পারভেজের ‘চন্দ্রগ্রহণ’ ও ‘বৃহন্নলা’তে অভিনয় করেন।
যে কারণে কক্সবাজারে নাটকের তারকাদের ভিড়
তারকাদের সব খবর এখন মেলে অন্তর্জালে। প্রযুক্তির উৎকর্ষে তারকারা এখন সময়ে সময়ে কোথায় আছেন, কী খাচ্ছেন সব আপডেট জানিয়ে দেন...
Discussion about this post