আমিনুল ইসলাম আমিন:: গোটা শহরের ফুটপাত দখলে রেখেছে ভাসমান দোকানগুলো।তার মাঝে যুক্ত হয়েছে ট্যুরিস্ট মিনিকার নামের কতগুলো ছোট পরিবহন। যেইগুলো কক্সবাজার শহরের বিভিন্ন পয়েন্টসহ কলাতলীর ফুটপাত দখল করে যাত্রী আনা-নেয়া করছে এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায়।তবে ওইসব পরিবহনের বৈধ কোনো কাগজপত্র না থাকলেও সড়কে চলছে রাজার মতো।আর এজন্য ট্রাফিক পুলিশকে দিতে হয় মোটা অংকের মাসোহারা।
জানা যায়,কক্সবাজার ,হিমছড়ি, সোনারপাড়া, শাপলাপুর ও টেকনাফ সদরে যাতায়াতের জন্যে সিএনজি বা বাস চলাচল করে নিয়মিত। তবে এর বাইরেও নতুন একটি অবৈধ অনুমোদনহীন পরিবহন যুক্ত হয়েছে। যা ট্যুরিস্ট মিনিকার হিসেবে পরিচিত।
অন্যদিকে, মেরিনড্রাইভ সড়ক হয়ে কক্সবাজার টেকনাফেে আসা যাওয়া অবৈধ ওই মিনি কারগুলোর নিজস্ব কোনো পাকিং না থাকায় সড়কের উপর বা ফুটপাত দখল করে যাত্রী তোলা হয় । ফলে সাধারণ পথচারীদের ভোগান্তির যেমন শেষ নেই তেমনি এসব অবৈধ এবং অনুমোদনহীন পরিবহনে সড়কে বাড়ছে র্দুঘটনা।
গতকাল কলাতলীতে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় পুরো ফুটপাত দখল করে রেখেছে অবৈধ মিনি কারগুলো।আরও এসব পরিচালনা করছেন বাহার উল্লাহ নামের এক ব্যক্তি। যিনি রাজনৈতিক পরিচয় এবং ট্রাফিক বিভাগের কতিপয় কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে ফুটপাত দখল করে চালাচ্ছেন যাত্রী উঠা-নামার কাজ। অবৈধ এসব মিনিকার পরিবহণে সহযোগিতা করছে।
অভিযোগের বিষয়ে কক্সবাজার ট্রাফিক পুলিশের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার বাবুল বণিকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায় নি। অপরদিকে কার সার্ভিসের নেতা পরিচয় দেওয়া বাহার উদ্দিনের মোবাইল বন্ধ থাকায় তার সাথেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয় নি।
এদিকে নিয়মিত টেকনাফ থেকে কক্সবাজার আসা যাত্রীরা জানিয়েছেন, আগে সিএনজি বা বাস দিয়ে আগে আসা-যাওয়া করতেন তারা, তবে নিয়মিত যাতায়াত করা এসব মিনিকার সার্ভিস অনেক ঝুঁকিপূর্ণ। ৫ থেকে ৭ জন পর্যন্ত যাত্রী নিয়ে চলাচল করে। যার ভাড়াও অন্যান্য পরিবহনের তুলনায় অনেক বেশি। তারা আরও বলেন, দেখতে প্রাইভেটকারের মত কলাতলী ডলফিন মোড়ে প্রায় ৬০/৭০টি গাড়ি ট্যুরিষ্টদের বাদ দিয়ে স্হানীয় যাত্রী পরিবহণ করছে। অনেক সময় তাদের এসব কারে উঠার জন্যে বাধ্য করা হচ্ছে। এই কার সার্ভিস ব্যবহার না করলে যাত্রীদের উপর হামলা সহ অকত্য ভাষায় গালি গালাজ করে চালক ও দালালেরা।
স্থানীয় কয়েকজন গাড়ি চালকের সাথে কথা বলে জানা যায়, কক্সবাজার ট্রাফিক পুলিশের বিভিন্ন কর্মকর্তার পরিচয়ে এসব মিনিকার নিয়মিত চলাচল করছে। তবে শুধু মাত্র ট্যুরিস্ট পরিবহনের কথা বলে কলাতলীর ডলফিন মোড় থেকে ট্যুরিষ্ট মিনি কার সার্ভিস ও দোয়েল কার সার্ভিস নামক দুইটি প্রতিষ্ঠান টেকনাফ আসা যাওয়া করছে। যার মধ্যে অধিকাংশই নাম্বার বিহীন ও অবৈধ গাড়ি।
স্থানীয়রা জানান, উক্ত ট্যুরিষ্ট কার সার্ভিস পর্যটক ভাড়ার আড়ালে স্হানীয় লোকজন, অর্থাৎ কক্সবাজার, হিমছড়ি, সোনার পাড়া, শাপলাপুর ও টেকনাফ সদরর বসবাস যাত্রীদের আনা নেয়ার কাজ শুরু করছে। ফলে অনেক যাত্রীকে এসব পরিবহন ব্যবহার করতে বাধ্য করা হচ্ছে।
Discussion about this post