নেত্রকোনার কলমাকান্দায় পরিবারের ব্যাপক আর্থিক সংকট উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বরাবর ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে দেওয়া আল মামুন নামে এক ছাত্রলীগ কর্মীর আত্মহত্যা করেছে।
রবিবার (২৫ অক্টোবর) সকালে উপজেলার রংছতি ইউনিয়নের বিশাউতি গ্রামে নিজ ঘরের আঁড়ার সঙ্গে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
মামুন ওই গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে। তার মা-বাবা ঢাকায় দিনমজুরের কাজ করে এবং পরিবারে দুই ভাই ও দুই বোনের মধ্যে তিনি বড়। আল মামুন কলমাকান্দা সরকারি ডিগ্রী কলেজের এবারের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ছিলেন।
মৃত্যুর আগে আল মামুন তার ফেসবুক টাইমলাইনে লিখে গেছেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা আপা। সভাপতি, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ, আমি আপনার রাজনৈতিক দলের সহযোগী সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কলমাকান্দা উপজেলা শাখার একজন ক্ষুদ্র কর্মী হিসেবে অন্যায়ের প্রতিবাদ, সৎ সাহস ও বুকে বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের আদর্শ ধারণ করে দেশ ও সমাজকল্যাণে নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছি সবসময়। কখনো নিজের ভবিষ্যৎ ও পরিবারের কথা চিন্তা করিনি।
এমতাবস্থায় ব্যাপক আর্থিক সংকট ও পরিবারের বড় ছেলে হিসেবে সংসারের দায়িত্ব নেওয়া পাহাড় সমতুল্য। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি যদি দয়া করে আমার পরিবারকে আর্থিক সাহায্য প্রদান করতেন? তাহলে বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে আমার পরিবারের এত কষ্টে দিন কাটত না, কিছুটা হলেও সুখের সন্ধান পেত।’
রংছাতি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান তাহেরা খাতুন জানান, ছেলেটির বাবা চা বিক্রেতা এবং বোন গার্মেন্টসকর্মী। সে নিজের টিফিনের টাকা বাঁচিয়ে ও টিউশনি করে যে টাকা সঞ্চয় করে তা দিয়ে দীর্ঘ দুই বছর ধরে তার এলাকায় বিশাউতি, রায়পুর ও গজারিকান্দাসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের অসহায় ও হতদরিদ্র মানুষের সেবা করে যাচ্ছিল। ছেলেটির নিজের বলতে কিছু নেই।
উপজেলার বিশরপাশা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক মো. আবু সায়েম জানান, মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেছে। পরে ময়না তদন্তের জন্য মরদেহ নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
নির্বাচিত হয়েই খুন হলেন বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর
সিরাজগঞ্জ পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বিএনপি সমর্থিত নবনির্বাচিত কাউন্সিলর তরিকুল ইসলাম প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে নিহত হয়েছেন। নির্বাচিত হয়েই প্রতিপক্ষের সমর্থকদের...
Discussion about this post