শাহী কামরানঃ কক্সবাজার শহর জুড়ে যেন উন্নয়নের ছুয়াঁ লেগেছে। রাস্তাঘাট প্রশস্তকরণ সহ চলছে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মযজ্ঞ। বর্তমান সরকারের কক্সবাজারের প্রতি এই সু-নজর জনগনের ইতিবাচক নজর কেড়েছে। সে সাথে চলমান উন্নয়ন নিয়ে সাধারন জনগন সরকারের প্রশংসা না করে পারছেনা বললেই চলে। উন্নয়নের ধারায় কক্সবাজার শহরের প্রবেশধার লিংকরোডে চলছে সড়ক প্রশস্তকরণ ও দু’পাশে পানি নিষ্কাশনের ড্রেনেজ।
কিন্তু, কর্মরত কিছু অসাধু কন্ট্রাক্টর ও ইঞ্জিনিয়ারদের অপরিকল্পিত অব্যবস্থাপনা কর্মকান্ডে তীব্র সমালোচনা চলছে। সমালোচনার মুখে পড়েছে রানা বিল্ডার্সের লিংকরোড এরিয়ার ড্রেনের কাজে দায়িত্বরত ইঞ্জিনিয়ার পলাশ। সমসমায়িক বিভিন্ন অসুবিধার কথা বলে কক্সবাজারের একমাত্র প্রবেশধার লিংকরোডের অনেক ব্যবসায়িরা অভিযোগ তুলেছেন নির্মানাধীন ড্রেন নিয়ে। ব্যস্ততম সম্ভাব্য উপশহর লিংকরোড বাজারের সামনে ড্রেন তৈরী করতে ধীর গতি ও স্ল্যাব তৈরী না করে কর্তৃপক্ষ উধাও বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অনেকে যাতায়াতের সুবিধার জন্য স্ল্যাব তৈরীর অনুরোধ জানালেও ইঞ্জিনিয়ার পলাশ তা কানে নিচ্ছেনা বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকে। বর্তমানে অনেকে বাশের তৈরী সাকোঁ দিয়ে ড্রেন পারাপার হচ্ছে। যে সাঁকোতে যেকোন সময় দূর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন ভোক্তভোগীরা।

অভিযোগ করে কয়েকজন দোকানদার জানান, তাদের কাজে যথেষ্ট ধীর গতি। অদক্ষ ইঞ্জিনিয়ার দিয়ে অপরিকল্পিতভাবে এই ড্রেন তৈরী করা হয়েছে। বৃষ্টির পানি চলাচল অবস্থায় লিংকরোড আরিফ আল হক মার্কেটের সামনে রাতের অন্ধকারে ঢালাই দেওয়া হয়েছে। তাই কিছু কিছু অংশে টেকসই না হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে অধিক।
ড্রেন করার ১৫দিন গত হয়ে গেলেও এখনো চলাচলের উপযোগী অর্থাৎ উপরে স্ল্যাব বা ঢালাই দেওয়া হয়নি। ফলে, যাতায়াতে মারাত্মক সমস্যা হচ্ছে অন্তত ৫শ দোকানদারের সহ পথচারীদের। ফলে কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে বলে দাবি করেছে দোকানদাররা। প্রত্যেকটা দোকানদারের কাস্টমার সহ মালামাল আসা নেওয়া করতে মারাত্মক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে প্রতিদিন। গত ২মাসে সকল ব্যবসায়ীরা ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। কিন্তু, সরকারের চলমান উন্নয়নের বাধাগ্রস্ত যেন না হয় সে দিকে খেয়াল রেখে ভোক্তভোগীরা এতদিন চুপ ছিল। যাতায়াত ব্যবস্থা তীব্র অসুবিধার মুখে পড়ায় এখন সকলে প্রতিবাদ করা শুরু করেছে।

তাছাড়া তাদের বিরুদ্ধে আরো অভিযোগ, ক্ষমতাধর ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের সামনে স্ল্যাব তৈরী করে দিয়ে যাতায়াত ব্যবস্থা করা হয়েছে। যা সরেজমিনে গেলে স্পষ্ট চোখে পড়ে। গত সেপ্টেম্বর ১০ তারিখের পরে ড্রেন করার উদ্দেশ্য রাস্তার দু পাশ খুড়ে ফেলা হয়। খুড়ার পর ৮/১০ দিন পর ধীরগতিতে ঢালাই প্রক্রিয়া শেষ হলেও ঢালাইয়ের ১৫দিন পর হতে ইঞ্জিনিয়ার পলাশ’কে ফোন করেও পাওয়া যাচ্ছেনা।
লিংকরোড ব্যবসায়িদের অসুবিধার কথা চিন্তা করে দ্রুত ড্রেনের কাজ শেষ না করলে সামনে আরো বেশী আর্থিক ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন অনেকে। একেত নভেম্বর ডিসেম্বর কক্সবাজারে আগত পর্যটকদের ভরা মৌসুম। কক্সবাজারে শহরে প্রবেশমুখ ও টেকনাফ সেন্টমার্টিনের যাতায়াতের অন্যতম উপ-শহর এই লিংকরোড। এমন মৌসুমে দ্রুত ড্রেন ও সড়কের কাজ ঠিক সময়ে শেষ না করলে আর্থিকভাবে মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়তে পারে বিভিন্ন শ্রেণীর ব্যবসায়িরা।
লিংকরোড অবস্থিত দোকানদাররা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ করে বলেন, দ্রুত ও যথা সময়ে নির্মাণাধীন ড্রেনের কাজ শেষ করে চলাচল সুবিধার্তে উপরে স্ল্যাব তৈরী করে ব্যবসায়িদের আর্থিক ক্ষয়ক্ষতি হতে ফিরিয়ে আনতে জোর দাবি জানান সকলে।
এই ব্যাপারে জানতে, ড্রেনের কাজে কর্মরত ইঞ্জিনিয়ার পলাশ কে মুঠোফোন পাওয়া সম্ভব হয়নি।
Discussion about this post