মিসরে ফের আড়াই হাজার বছর পুরোনো বিপুল কফিন উদ্ধার করেছে দেশটির পর্যটন ও প্রত্নতত্ত্ব কর্তৃপক্ষ। গত কয়েক মাসে একের পর এক প্রাচীন মিসরের নিদর্শন আবিষ্কারের ঘটনার মধ্যে এই কফিন পাওয়ার ঘটনা ঘটলো।
রাজধানী কায়রোর দক্ষিণে অবস্থিত প্রসিদ্ধ সাক্কারা নেক্রোপলিসের কবরস্থান থেকে ১০০ কফিন উদ্ধার করা হয়। খবর দ্য গার্ডিয়ান।
কফিনগুলোর মধ্যে বেশ কয়েকটিতে অক্ষত মমি পাওয়া গেছে যা ভালোভাবে কাপড় দিয়ে মোড়ানো। অন্তত ৪০টি কফিনে স্বর্ণের প্রলেপ দেয়া বলে জানা গেছে।গবেষণার জন্য কফিন ও মমিগুলো এক্স-রে ল্যাবে প্রেরণ করেছে কর্তৃপক্ষ।
মিসরের পর্যটন ও প্রত্নতত্ত্ব মন্ত্রী খালেদ এল-আনানি বলেন, ‘উদ্ধারকৃত কফিনগুলো পলিমেইক শাসনামলের। তারা ৩২০ খ্রিষ্টপূর্ব থেকে ৩০ খ্রিষ্টপূর্ব পর্যন্ত প্রায় ৩০০ বছর প্রাচীন মিসর শাসন করেছে।’
তিনি বলেন, ‘সাক্কারা নেক্রোপলিসের আরো একটি কবরস্থান আবিষ্কার হয়েছে। বছরের শেষ দিকে সেটা হয়তো সবাইকে জানানো হতে পারে।’
উদ্ধারকৃত মমি ও কফিন কায়রোর ৩টি জাদুঘরে প্রদর্শন করা হবে বলে মন্ত্রী জানান। মিসরের বিখ্যাত গ্র্যান্ড জাদুঘর এর মধ্যে একটি।
এর আগে, অক্টোবরের শুরুতে সাক্কারায় আড়াই হাজারের বছরের পুরোনো কয়েক ডজন নতুন মমি এবং পাথরের ৫৯টি কফিনের সন্ধান পাওয়ার কথা জানিয়েছিলেন মিসরীয় কর্তৃপক্ষ। একইভাবে সেপ্টেম্বরে ওই এলাকায় প্রাচীন এক গোরস্থানে আড়াই হাজারো বেশি বছর আগে কবর দেওয়া ২৭টি কফিন আবিষ্কৃত হয়েছিল।
এসব কফিনের পাশাপাশি উদ্ধার করা হয় কিছু পুরাতাত্ত্বিক সামগ্রীও, যাতে রয়েছে কিছু প্রাণীও যেমন বিড়াল, কুমির, গোখরো সাপ এবং পাখি। সেগুলোও খুব সুন্দর নকশা করে তৈরি, গায়ে রং করাও। ২০১৯ সালের অক্টোবরে দেশটির লাক্সার প্রদেশে আসাসিফ সমাধিস্থলে ৩০টি প্রাচীন কফিন আবিষ্কৃত হয়েছিল।
এর আগে ২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে প্রত্নতত্ত্ববিদরা সাক্কারার স্টেপ পিরামিডের কাছ থেকে মমি করা বেশ কিছু প্রাণীর সন্ধান পেয়েছিলেন।
মিয়ানমারে ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ানো উইরাথুর সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ
মিয়ানমারে ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ানো বিতর্কিত বৌদ্ধ ভিক্ষু আশ্বিন উইরাথুর সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানায়, রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে...
Discussion about this post