২৭ বছর বয়সী মেয়ের সঙ্গে একই বিয়ের আসরে কনের সাজে বসলেন ৫৩ বছর বয়সী মা। ভারতের উত্তর প্রদেশের গোরক্ষপুরের পিপরেলি ব্লকে আয়োজিত এক গণবিবাহের আসরে এই কাণ্ড ঘটেছে। আশ্চর্য মনে হলেও সত্যিসত্যিই এই কাণ্ডটি ঘটেছে।
রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের উদ্যোগে আয়োজিত হয় গণবিবাহটি। সেখানেই নিজের চাইতে দুই বছর বয়সী বড় দেবর জগদীশের সাথে দ্বিতীয়বারের মতো বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন ৫৩ বছর বয়সী বেলী দেবী। ২৫ বছর আগে জগদীশের বড় ভাই হরিহরের মৃত্যুতে বিধবা হয়েছিলেন তিনি।
পরে পাঁচ ছেলে-মেয়েকে বড় করে তোলেন বেলী দেবী। এদের মধ্যে দুই ছেলে ও দুই মেয়ের বিয়েও হয়ে গেছে আগে। সম্প্রতি সরকারি আয়োজনে গণবিবাহের আসরে ছোট মেয়ে ইন্দুর বিয়ে দেবেন বলে ঠিক করেন বেলী দেবী। এই আসরে রাহুল নামে ২৯ বছর বয়সী এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে হয় ইন্দুর।
আর এই আসরেই মা ও কাকার বিয়ে সেরে ফেলবেন বলে ঠিক করেন ইন্দুসহ তার ভাইবোনেরা। যদিও তাদের মধ্যে আগে থেকে তেমন কোনো সম্পর্ক ছিল না বলে জানা গেছে। মৃত ভাইয়ের স্ত্রী-সন্তানদের সাথে সুসম্পর্কই ছিল কৃষক জগদীশের। আর তিনি ছিলেন অবিবাহিত।
কয়েক বছর আগে নিজের ভাইয়ের বিধবা বেলী দেবীকে বিয়ে করবেন বলে ঠিক করেন জগদীশ। প্রথমদিকে রাজি ছিলেন না বেলী দেবী। পরে জগদীশ ও নিজের সন্তানদের পীড়াপীড়িতে অবশেষে দ্বিতীয়বার বিয়ের পিঁড়িতে বসতে মত দেন তিনি। এরপরই ঠিক হয়, একই দিনে, একই মঞ্চে মা ও মেয়ের বিয়ে হবে।
এ প্রসঙ্গে বেলি দেবী বলেন, ‘আমার দুই ছেলে এবং দুই মেয়ের বিয়ে ইতিমধ্যে হয়ে গিয়েছে। তাই ছোট মেয়ের বিয়েতেই দেবরকে বিয়ে করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেই। এতে আমার সন্তানরা প্রত্যেকেই খুশি।’
মায়ের বিয়েতে বেশি আনন্দিত ইন্দু। তিনি বলেন, ‘আমার মা এবং কাকা দুই জনে মিলে আমাদের বিয়ে দিয়েছেন। এতদিন ওরা আমাদের খেয়াল রাখতেন, এবার নিজেদের খেয়াল রাখতে পারবেন।‘
গণবিবাহের এই আয়োজনে গোরক্ষপুরের জেলা প্রশাসক, এসপি থেকে শুরু করে প্রশাসনের বেশ কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। একই আয়োজনে মা ও মেয়ের বিয়ে নিয়েই যেন সবার মধ্যে ছিল বাড়ি উৎসাহ। গ্রামবাসীও বেশ উপভোগ করেছে এই বিয়ে। এই বিয়ের আসরে মোট ৬৩টি যুগলের বিয়ে হয়, যার মধ্যে এক মুসলিম যুগলও ছিলেন।
ছাগলের চামড়ার জুতার দাম ৪৩ লাখ টাকা
সম্প্রতি এক জোড়া জুতা বিক্রি হয়েছে ৫১ হাজার ডলারে। যার বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৪৩ লাখ টাকা। জুতাটি হীরা অথবা...
Discussion about this post