অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় কক্সবাজারের তৎকালীন এসপি এবিএম মাসুদ হোসেনের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ ও অপেশাদার ছিল জানিয়ে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে আদালতে জমা দেয়া প্রতিবেদনে আবেদন করা হয়েছে।
রবিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর কারওয়ান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এলিট ফোর্সটির মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ এ তথ্য জানান।
সিনহা হত্যার পর তৎকালীন পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেনের একটি অডিও প্রকাশ পেয়েছিল। সে বিষয়ে তদন্তে কি মিলেছে এমন প্রশ্নের জবাবে র্যাব মুখপাত্র বলেন, হত্যাকাণ্ডের আগে থেকেই ওসি প্রদীপ সম্পর্কে বিভিন্ন ধরণের তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গণমাধ্যমে এসেছিল। তা নিয়ে এসপি মাসুদ অত্যন্ত উদাসীন ছিলেন। পাশাপাশি স্থানীয় সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফাসহ স্থানীয়দের নির্যাতনের ঘটনা গণমাধ্যম আসার পরেও পুলিশ সুপার সম্পূর্ণ উদাসীন ছিলেন।
তাছাড়া ঘটনার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন না করা এবং আহত মেজর সিনহাকে চিকিৎসার ব্যবস্থা না করাসহ বিভিন্ন বিষয় তদন্ত কর্মকর্তা আমলে এনেছেন। পুলিশ সুপারের অপেশাদার আচরণ এবং দায়িত্ব পালনে আরও বেশি সতর্ক হওয়ার দরকার ছিল বলে মনে করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ বলেন, সার্বিক ঘটনা বিবেচনায় একজন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ পুরা ঘটনা তদারকিতে ঘাটতি ছিলো। এরই প্রেক্ষিতে তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদের আচরণের বিরুদ্ধে এবং দায়িত্বহীনতার বিরুদ্ধে একটি বিভাগীয় ব্যবস্থা বা প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতে চার্জশিটে উল্লেখ করেছেন।
মেজর সিনহাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে জানিয়ে র্যাব মুখপাত্র বলেন, জুলাই মাসের মাঝামাঝি সময়ে থানায় বসে ওসি প্রদীপ (তৎকালীন টেকনাফ থানার ওসি) সহ পাঁচজন মিলে এই হত্যার পরিকল্পনা করেন। পরে তা বাস্তবায়ন করেন ১৫ জন মিলে।
দেশের ৬৫১ তম থানা কক্সবাজারের ‘ঈদগাঁও’
সমুদ্রকন্ঠ রিপোর্ট ॥ কক্সবাজার সদর উপজেলার পাহাড় ও উপকূল বেষ্টিত বৃহত্তর ঈদগাঁওকে আলাদা থানা ঘোষণা করা হয়েছে। ঈদগাঁওর পাঁচ ইউনিয়নের...
Discussion about this post