ভারত অধিকৃত কাশ্মীরে তিন বেসামরিক নাগরিককে ‘অপহরণ করে হত্যার পর ভুয়া বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনা সাজানোয় এক সেনাকর্মকর্তাকে অভিযুক্ত করেছে দেশটির পুলিশ। গত জুলাই মাসে ঘটা এ হত্যার ঘটনায় পুলিশের এই তদন্ত এবং অভিযোগপত্র দাখিলকে বিরল বলেই অভিহিত করছেন পর্যবেক্ষকরা।
কয়েক মাস ধরে তদন্তের পর এই বিচারবহির্ভুত হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে পুলিশের অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, অভিযুক্তর ক্যাপ্টেন ভূপেন্দ্র সিং কাশ্মীরে দায়িত্ব পালনকালে মেজর বশীর খান নাম ধারণ করে তার দুই সোর্সের সহায়তায় স্থানীয় তিন শ্রমিককে অপহরণ করেন। এরপর তারা তিন জন মিলে এই তিন বেসামরিককে হত্যা করেন। হত্যার পর মরদেহের পাশের আগ্নেয়াস্ত্র রেখে ‘ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী’ সাজিয়ে বন্দুকযুদ্ধে নিহত বলে খবর রটানো হয়।
পুলিশের তদন্তে আরো উঠে এসেছে যে ওই সেনাকর্মকর্তা উদ্দেশ্যমূলকভাবে পরিকল্পনা করে স্ট্যান্ডার্ড অপারেশন প্রসিডিউর (এওপি) লঙ্ঘন করেছেন। এরপর মরদেহের পাশে অবৈধ অস্ত্র ও অন্যান্য বস্তু রেখে দেয়া হয়। তাদের ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচয় করানো হয়।
ওই কর্মকর্তা উদ্দেশ্যমূলকভাবে তার সহকর্মী এবং উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন। অভিযুক্ত সেনা কর্মকর্তা কাশ্মীরের ৬২ রাষ্ট্রীয় রাইফেলসে দায়িত্বরত ছিলেন। সেনাবাহিনীর এই শাখাটি কাশ্মীরে সন্ত্রাস বিরোধী অভিযানের দায়িত্বে রয়েছে।
হত্যার শিকার ওই তিন বেসামরিক লোকের মধ্যে রয়েছেন আবরার আহমেদ (১৬) এবং ১৫ মাস বয়সী এক পুত্রসন্তানের জনক যার বয়স ছিল ২৫ বছর।
ওই কর্মকর্তাকে এখন বিচারের মুখোমুখি করা হবে। এদিকে ভারতীয় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা এ ব্যাপারে পৃথকভাবে তদন্ত করছেন। প্রাপ্ত সব তথ্য প্রমাণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ওই কর্মকর্তার বিচার ফৌজদারি আদালতে নাকি সামরিক আদালতে হবে সে ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। খবর দ্য গার্ডিয়ান।
Discussion about this post