শাহী কামরান:: কক্সবাজার সদরের ঝিলংজা ইউনিয়নের খরুলিয়া বাজারে এমন ঘটনা ঘটেছে আজ ২১শে ডিসেম্বর সোমবার সকালে। স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, খরুলিয়া বাজারে ফয়েজ অটো রাইচ মিল হলুদ গুড়া তৈরী করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে।তারই ধারাবাহিকতায় আজ সকালে হলুদের গুড়া তৈরীর সময় সাথে চাউলের কুড়া মিশানোর দৃশ্য চোখে পড়ে স্থানীয় একজনের। তিনি তাৎক্ষনিক স্থানীয় ঝিলংজার ৮ ও ৯নং ওয়ার্ডের মেম্বারকে অবগত করেন ও মোবাইলে ভিডিও ধারণ করেন। ধারণকৃত ভিডিও ও ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করলে সর্বত্র নিন্দার ঝড় উঠেছে।
খবর নিয়ে জানা যায়, ফয়েজ অটো রাইস মিলের মালিক খরুলিয়ার স্থানীয় যুবক এনামুল হক। সে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন হলুদ বিক্রেতাদের সাথে চুক্তিভিত্তিক অবৈধ মিশ্রিত হলুদ ও মরিচ সহ নানা খাদ্য সামগ্রী তৈরী করে ক্রেতাদের এভাবে ঠকিয়ে আসতেছে।তবে কথায় আছে, চোরের ১০দিন গৃহস্তের ১দিন তা আজ আবারও প্রমানিত হলো।খরুলিয়া বাজারে ৩টি মসলা গুড়া করার মিল রয়েছে। এসব মিলে হলুদ, মরিচ, জিরা, কালো জিরাসহ নিত্য প্রয়োজনীয় সব মসলা গুঁড়া করা হয়। স্থানীয় জনসাধারণ জানান, অন্যান্য মিলেও বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকারক দ্রব্য মেশানো হচ্ছে কি না তা খতিয়ে দেখতে ও এই অসাধু ব্যবসায়ীদের জন্য আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের কাছে হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয়রা।
ভেজালের বিষয়ে মিল মালিক এনামুল হকের কাছে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও জনসাধারন সরাসরি জিজ্ঞেস করলে, এই বিষয়ে সে কিছু জানেনা বলে অস্বীকৃতি জানান ও সব দোষ কলঘর এলাকার ব্যবসায়ী সাকেরের উপর চাপিয়ে দেন।তিনি আরও জানান, মিল মালিক শুধু মসলা গুড়া করার জন্য কেজি হিসেবে ১৫ টাকা করে নিয়ে থাকেন। মসলায় কি মেশানো হচ্ছে তা দেখে তাদের কোনো লাভ নেই।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে কক্সবাজার সদর উপজেরার নির্বাহী কর্মকর্তা রওনা দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
Discussion about this post