মিয়ানমার সীমান্তবর্তী ভারতীয় অংশে হামলা চালানো বিদ্রোহী দলগুলোকে চীন সহায়তা করছে বলে অভিযোগ ভারতের কর্মকর্তাদের। এতে হিমালয় অঞ্চলে সংঘর্ষে জড়িত দেশ দু’টি আবারও নতুন দ্বন্দ্বের পথে যাচ্ছে। যদিও ভারতের এই অভিযোগ সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছে চীন।
নাম প্রকাশ না করে ভারতের কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন, মিয়ানমারে সশস্ত্র দলগুলোর মধ্যে ইউনাইটেড ওয়া স্টেট আর্মি, আরাকান আর্মি’কে এ বছর সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোতে অস্ত্র ও আস্তানা সরবরাহের মাধ্যমে তারা বেইজিংয়ের প্রক্সি হিসেবে কাজ করছে।
যদিও ভারতের বিরুদ্ধে কার্যকলাপের জন্য বিদ্রোহী দলগুলোকে সহায়তার অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে চীন। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, অন্য দেশের ব্যাপারে তারা নাক গলায় না। চীন সর্বদা অস্ত্র রপ্তানির ক্ষেত্রে বুদ্ধিমান ও দায়িত্বশীল মনোভাব বজায় রাখে। আমরা কেবল সার্বভৌম রাষ্ট্রগুলোর সহযোগিতায় সামরিক বাণিজ্য পরিচালনা করি এবং রাষ্ট্র ছাড়া অন্য কারো কাছে অস্ত্র বিক্রি করি না।
ভারতের কর্মকর্তারা আরও বলছেন, নিরাপত্তা বিষয়ক একাধিক সংস্থা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকারকে সতর্ক করেছিল যে, ভারতের অন্তত চারজন উগ্রপন্থী নেতা চীনের দক্ষিণাঞ্চলের শহর কুনমিংয়ে অক্টোবরের মাঝামাঝি পর্যন্ত প্রশিক্ষণ এবং অস্ত্র সরবরাহের জন্য ছিলেন। ভারত-মিয়ানমার সীমান্তের বিস্তীর্ণ এলাকায় নাগা বিদ্রোহীরা চীনের অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা এবং অন্যান্য মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে বৈঠক করেছে।
মিয়ানমার সীমান্তে বিদ্রোহীদের সক্রিয় হয়ে ওঠার বিষয়টি ভারতের কাছে যথেষ্ট উদ্বেগের। গত ২১ অক্টোবর মিয়ানমার সীমান্তে একজন সেনা নিহত হওয়ার জেরে এক হাজার সেনা নিয়ে গঠিত বেশ কয়েকটি ব্যাটালিয়ন সরিয়ে নেওয়ার ঘটনাও ঘটে।
ইউনাইটেড ওয়া স্টেট আর্মি’র পক্ষ থেকেও বলা হয়েছে, চীনের পক্ষ থেকে ভারতের বিদ্রোহী কোনো গোষ্ঠীকে সমর্থন বা সহায়তা তারা করেনি। ইউনাইটেড ওয়া স্টেট আর্মি’র মুখপাত্র নি রাং বলেন, ভারতের জাতীয় সুরক্ষা সংশ্লিষ্ট বিষয়ের সঙ্গে আমরা জড়িত নই এবং আমরা সে দেশের মোটেও ক্ষতি করি না। সুতরাং, আমরা মনে করি- এ জাতীয় অভিযোগ সম্পর্কে আমাদের মন্তব্য করার দরকার নেই। খবর ব্লুমবার্গ।
মিয়ানমারে ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ানো উইরাথুর সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ
মিয়ানমারে ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ানো বিতর্কিত বৌদ্ধ ভিক্ষু আশ্বিন উইরাথুর সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানায়, রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে...
Discussion about this post