থাইল্যান্ডের রাজা ভাজিরালংকর্ন’র প্রেমিকা সিনিনাত ওয়ংভাজিরাপাকদির সহস্রাধিক ছবি ফাঁস হয়েছে। যার মধ্যে শতাধিক ছবি ‘নগ্ন বা অর্ধনগ্ন’। ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম দ্য সান এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
দ্য সানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওইসব ‘আপত্তিকর’ ছবি নিজের মোবাইলে তুলে রাজা ভাজিরালংকর্নকে পাঠিয়েছিলেন সিনিনাত। এর পর তার ফোন হ্যাক হলে সেসব ছবি ভাইরাল হয়ে যায়। সিনিনাত অনেক আগে ওইসব নগ্ন ছবি নিজে তুলছেন।
ছবিগুলো তোলার কয়েক বছর পরে ব্রিটিশ সাংবাদিক অ্যান্ড্রু ম্যাকগ্রিগোর মার্শাল পান সেসব ছবি। তিনি থাই রাজার শাসনামলের কট্টর সমালোচক। ছবিগুলো একটি ভুয়া ঠিকানা দিয়ে তার কাছে পৌঁছায়। চিঠিতে লেখা থাকে, তারা ‘গণতন্ত্রকামী থাই হ্যাকার’।
এদিকে অনেকের ধারণা, রাজ পরিবারের অন্দরের লড়াই এবং বিদ্বেষের ফলাফল এই ঘটনা। রাজার সাবেক কোন স্ত্রীর যোগসাজগে সিনিনাতের এমন ফটো ফাঁস হয়েছে। গত সেপ্টেম্বরে প্রেমিকা সিনিনাতের কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া ‘রয়্যাল কনসর্ট’ বা ‘রাজসঙ্গী’র মর্যাদা ফিরিয়ে দেন ভাজিরালংকর্ন। এর কয়েক মাসের পরেই এই ঘটনা ঘটলো।
ভাজিরালংকর্ন এর আগে তিন বিয়ে করেছেন। তবে ইতোমধ্যে সবার সঙ্গে ডিভোর্স হয়েছে। বর্তমানে তিনি থাকছেন সিনিনাথের সঙ্গে।
প্রসঙ্গত, থাইল্যান্ডের প্রথা অনুসারে রাজা তার ইচ্ছে অনুযায়ী স্ত্রীর বাইরে কাউকে রাজকীয় সঙ্গী বা কনসোর্ট উপাধি দিতে পারেন। এই কনসোর্ট মূলত রাজার একজন সঙ্গিনী বা পার্টনার। সিনিনাতকে রাজা ভাজিরালংকর্নের সঙ্গিনী হিসেবে নাম ঘোষণার মাত্র কয়েক মাস পরেই গত বছরের অক্টোবরে তার কনসোর্ট পদবী বাতিল করা হয়েছিল।
সেসময় রাজ পরিবার থেকে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছিল যে রাজার সঙ্গিনী সিনিনাত নিজেকে “রানীর সমকক্ষ” হিসেবে তুলনা করায় তাকে এই শাস্তি দেওয়া হয়েছে। কনসোর্ট পদবী কেড়ে নিতে গিয়ে সিনিনাতের বিরুদ্ধে রাজ পরিবারের সাথে খারাপ আচরণ ও বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগ আনা হয়।
মিয়ানমারে ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ানো উইরাথুর সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ
মিয়ানমারে ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ানো বিতর্কিত বৌদ্ধ ভিক্ষু আশ্বিন উইরাথুর সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানায়, রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে...
Discussion about this post