জসিম উদ্দীনঃ
সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধু নেতৃত্বেই বাংলাদেশ স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশ এ দুটি একে অপরের সমার্থক।জাতির পিতার সোনার বাংলার’ স্বপ্ন’ আজ বাস্তবতা। আর এ স্বপ্নের বাস্তবায়ন হয়েছে বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে।
বৃহস্পতিবার (৩রা ডিসেম্বর) দুপুরে কক্সবাজারের রামু নবগঠিত সেনানিবাসে ৪টি ইউনিটি পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
সেনা প্রধান করোনাকালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভূমিকা, দেশপ্রেম ও আত্মত্যাগ তুলে ধরে বলেন,বৈশ্বিক করোনা পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ সেনাবানীর সদস্যগণ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালন করে বিশ্বের কাছে প্রশংসিত হয়েছে। করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সচেতনা সৃষ্টির লক্ষে সারাদেশে ৭৪হাজার ২৩৫টি টহল পরিচালানা করেছে।
সেনাবাহিনী নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় তিন লাখ ২৪হাজার ৭শ’পরিবারকে খাদ্য সহায়তার পাশাপাশি ২৯ হাজার ৬১জন কৃষককে মৌসুমী ফসল বীজ বিনামূল্যে সরবরাহ ২৯ হাজার ২৮৯ টি দুস্ত পরিবারকে ‘পরিচ্ছদ’ প্রদান করেছে।
তিনি আরও বলেন,করোনার কারনে যখন সাধারণ মানুষের চিকিৎসা সেবা পেতে অনেক সমস্যা হচ্ছিল তখন সেনাবাহিনীর চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীগণ করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি নিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থাসে অস্থায়ী ক্যাম্প পরিচালনা করে ৫০ হাজার ৮৩১জনকে চিকিৎসাসেবা প্রদানের পাশাপাশি ১৪হাজার ৬৪৭জন গর্ভবতী মায়েদের বিশেষ চিকিৎসা সেবা প্রদান করে।
এ ছাড়াও সেনাবাহিনীর দেশের বিভিন্ন স্থানে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার স্থাপন ও পরিচালনায় সেনাবাহিনীর নির্ভরতা ও দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করে চলেছে।
সেনা প্রধান আজিজ আহমেদ উল্লেখ করেন, করানকালে সেবার মানদণ্ডে সেনাবাহিনীর চিকিৎসা ব্যবস্থা দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিশ্বের কাছে রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আমাদের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের অক্লান্ত পরিশ্রম ত্যাগ ও সেবার মানসিকতা এ অর্জনের পেছনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
এর পাশাপাশি মাঠ পর্যায়ে সঠিক পরিকল্পনা শৃংঙ্খলা ও নিরলস পরিশ্রমের কারনে করোনা যুদ্ধে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভূমিকা আজ সর্বমহলে প্রশংসিত। সার্বিকভাবে করোনা মোকাবেলায় সেনাবাহিনীর আত্মত্যাগ, দেশপ্রেম ও বরিষ্ঠ ভূমিকার জন্য সেনাপ্রধান হিসেবে আমি অত্যন্ত গর্বিত।
Discussion about this post