একদিকে ধারণ ক্ষমতার কয়েকগুন বেশী পর্যটক ও বসবাসকারী মানুষের চাপ। অন্যদিকে, প্রতিনিয়ত মানুষের অনিয়ন্ত্রিত ও বিরূপ আচরণে হুমকির মুখে পড়েছে দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন। দ্বীপটির প্রধান বৈশিষ্টের বিরল জ্যান্ত প্রবাল ও কচ্ছপ এর অস্তিত্বও হুমকির মুখে।
বঙ্গোপসাগরের উত্তর-পুর্বে টেকনাফ থেকে ৯ কিলোমিটার দক্ষিণে, মিয়ানমার থেকে ৮ কিলোমিটার পশ্চিমে নাফ নদীর মোহনায় অবস্থিত দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ- সেন্টমার্টিন। এ দ্বীপে যেতে ডানা মেলা গাঙচিলের সাথে পাড়ি দিতে হয় নাফ নদী ও বঙ্গোপসাগর।
নৈসর্গিক সৌন্দর্যের আধার ও জীববৈচিত্রের সম্ভার এই প্রবাল দ্বীপ ভ্রমণ পিপাসুদের পছন্দের অবকাশ কেন্দ্র। তবে দ্বীপ জুড়ে আবর্জনার স্তূপ ও বিপর্যস্ত পরিবেশ পর্যটকের আনন্দ ম্লান করে দেয়।
যত্র তত্র গড়ে ওঠা ১শ’ ৬টি স্থাপনা, প্রতিদিন ভারসাম্যের তুলনায় কয়েকগুন বেশী পর্যটক ভিড় করায় ছোট দ্বীপটি হুমকির মুখে। জীব-বৈচিত্র্যে ওপর ফেলছে নেতিবাচক প্রভাব। নব্বইয়ের দশকে এখানে বছরে সর্বোচ্চ ২’শ পর্যটক আসতো আর এখন দেড় লাখ। ১ দশমিক তিন দুই বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে থাকা প্রবাল কমে, এখন আছে মাত্র দশমিক শূন্য তিন নয় বর্গকিলোমিটারে।
সেন্টমার্টিনকে রক্ষায় দু’বছর আগেই সেখানে পর্যটকের রাত্রি যাপন নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। দিনে মাত্র দুটি জাহাজে সীমিত আকারে সেন্টমার্টিনে পর্যটক যাওয়ার ব্যবস্থা রাখারও সিদ্ধান্ত হয়। শেষ পর্যন্ত রাত্রি যাপন নিষিদ্ধ না করে বরং যাত্রী নিয়ন্ত্রণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
সরকারের উদ্যোগের পাশাপাশি দ্বীপ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় প্রয়োজন জনসচেতনতা।
বর্ষার আগেই প্রত্যাবাসন শুরু করতে চায় বাংলাদেশ
বর্ষার আগেই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করতে চায় বাংলাদেশ। আগামী সপ্তাহে অনুষ্ঠেয় বাংলাদেশ, চীন ও মিয়ানমারের মধ্যে পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের...
Discussion about this post