নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
কক্সবাজার উত্তর ও দক্ষিণ বন বিভাগের বনাঞ্চলের পাশ্ববর্তী এলাকাগুলোতে প্রতিদিন খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে নেমে আসছে বন্য হাতির দল। উজাড় হওয়া বনে খাবারের তীব্র সংকট দেখা দেয়ায় এ ঘটনা ঘটছে বলে সংশ্লিষ্টরা তথ্য দিয়েছেন।
শুক্রবার ভোরে চকরিয়া উপজেলার বিএমচর ইউনিয়নের বাঁশখাইল্লা পাড়াসহ কয়েকটি এলাকায় খাবারের সন্ধানে এসে তাণ্ডব চালিয়েছে বন্য হাতির দল। এ সময় হাতির তাড়া খেয়ে আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা।
হাতির তাণ্ডবের সময় মর্তুজা বেগম (৬০) নামে এক বৃদ্ধা মারাত্মকভাবে আহত হন। তাকে উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের রেফার করেন। তিনি এখন সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ ঘটনায় মর্তুজা বেগমের ছেলে রেজাউল করিমের চকরিয়া থানায় জিডি করেছেন।
রেজাউল করিম জানান, প্রায় সময় রাতে হাতির পাল খাবারের সন্ধানে তার এলাকা মিয়াজী পাড়া ও তার আশেপাশে হানা দেয়। কৃষিজমি, ভিটাবাড়ীর গাছগাছালির অনেক ক্ষয়ক্ষতি করে। বিষয়টি একাধিকবার বন বিভাগের নজরে আনা হলেও তারা কোন ধরনের ব্যবস্থা নেয়নি।
তিনি আরও জানান, গতকাল শুক্রবার সকালের হাতির হামলায় তার মা আহত হলে বিষয়টা বন বিভাগকে অবগত করা হয়। কিন্তু বন বিভাগের এক কর্মকর্তা তাকে আইনের আশ্রয় নেয়ার পরামর্শ দেন। এ কারণে তিনি হাতির বিরুদ্ধে চকরিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাকের মোহাম্মদ জুবায়ের। তিনি জানান, হাতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সুযোগ পুলিশের নেই। তবে এ ক্ষেত্রে ঘটনার সত্যতা যাচাই করে বন বিভাগকে একটি প্রতিবেদন দেবে পুলিশ। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে সহায়তা করার সুযোগ রয়েছে বন বিভাগের।
কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের বিশেষ টহল টিমের ইনচার্জ এ কে এম আতা এলাহী জানান, হাতির হামলায় আহত ও থানায় জিডির বিষয়টি তিনি অবগত নয়। তবে ঘটনা সত্য হয়ে থাকলে নিয়ম অনুযায়ী ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেবে বন বিভাগ।
দেশের ৬৫১ তম থানা কক্সবাজারের ‘ঈদগাঁও’
সমুদ্রকন্ঠ রিপোর্ট ॥ কক্সবাজার সদর উপজেলার পাহাড় ও উপকূল বেষ্টিত বৃহত্তর ঈদগাঁওকে আলাদা থানা ঘোষণা করা হয়েছে। ঈদগাঁওর পাঁচ ইউনিয়নের...
Read more