সংরক্ষিত বনভূমির অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদে বিশেষ অভিযানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। খুব শিগগিরই পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এ অভিযান পরিচালনা করবে।
সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিনের সভাপতিত্বে সংরক্ষিত বনভূমির দখল উদ্ধারে গৃহীত ব্যবস্থা গ্রহণ সংক্রান্ত বিশেষ সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
বৈঠকে বন বিভাগের নামে রেকর্ডকৃত অবৈধ দখলকৃত সংরক্ষিত বনভূমি উদ্ধারে প্রথম অভিযান চালানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক্ষেত্রে পর্যায়ক্রমে গাজীপুর, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, কক্সবাজার বনবিভাগের অবৈধ দখলকৃত সংরক্ষিত বন উদ্ধারে অভিযান চালানো হবে। পরবর্তীতে দেশের অবশিষ্ট অঞ্চলের অবৈধ বনভূমি থেকে দখলদারদের উচ্ছেদে অভিযান পরিচালনা করা হবে।
সভায় জানানো হয়, ১৪০ জন জবরদখলকারী ৮২০.৩৪ একর সংরক্ষিত বনভূমি দখল করে শিল্প প্রতিষ্ঠান এবং কলকারখানা স্থাপন করেছেন। ৫৯৮২ জন জবরদখলকারী ১৪১৪৯.১৭ একর সংরক্ষিত বনভূমি জবর দখল করে হাটবাজার, দোকান, রিসোর্ট কিংবা কটেজ, কৃষিফার্ম ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেছে। ৮২০৯৩ জন ব্যক্তি ১২৩৬৪৩.৫৫ একর সংরক্ষিত বনভূমি অবৈধ দখল করে ঘরবাড়ি, কৃষি জমি তৈরি করেছে।
সারা দেশে মোট ৩৩১০৯০৭. ৫২ একর সংরক্ষিত বনভূমির ১৩৮৬১৩.০৬ একর মোট ৮৮২১৫ জন জবরদখল কারী দীর্ঘদিন ধরে দখলে রেখেছে। সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক বনের নামে রেকর্ডকৃত সব সংরক্ষিত বনভূমি উদ্ধারের এই কর্মসূচি চলমান থাকবে।
বেশি বনভূমি অবৈধ দখলে আছে এমন ১২টি জেলার জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে পরিচালিত এ বিশেষ অভিযান মনিটরিং ও সমন্বয় করার জন্য পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ও উপসচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দেওয়া হবে। জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে পরিচালিত এসব অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টদের সহায়তা চাওয়া হয়েছে।
ভোটকেন্দ্রের মতো হবে করোনার টিকাকেন্দ্র
শীতের তীব্রতার কারণে বাড়ছে ঠাণ্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা। তাই অনেকেই শঙ্কা নিয়ে রাজধানীর হাসপাতালগুলোতে ভিড় করছেন কোভিড-১৯ পরীক্ষা করাতে। ছবিটি...
Discussion about this post