গেল শারদীয় দুর্গোৎসবে পূজা মণ্ডপের নিরাপত্তায় আনসার সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালনে নাম অন্তর্ভূক্ত করতে আব্দুল মান্নানের থেকে ৬শ’ টাকা ঘুষ নেন আনসার ভিপিপি লিডার আব্দুর রাজ্জাক।
রোববার (২৭ ডিসেম্বর) ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা আনসার ভিডিপি অফিসে এসে আব্দুল মান্নান নিজ স্বাক্ষরে দুর্গাপুজার ডিউটি বিল বাবদ ২ হাজার ৩শ’ ৫৫ টাকা উত্তোলন করেন। পরে অফিসের অদূরে আসতেই উপজেলার বড়হিত ইউনিয়নের ভাতাভোগী আনসার ভিডিপি লিডার দালাল আব্দুর রাজ্জাক (৫৫) অফিসের বড় সাহেব ও অন্যান্য খরচের কথা বলে আব্দুল মান্নানের কাছ থেকে উত্তোলনকৃত টাকা নিয়ে তাকে মাত্র ৫শ’ টাকা দিয়ে বিদায় করে দেয়। সে সময়, বিষয়টি কাউকে না জানাতে মান্নানকে হুমকি দেয় আব্দুর রাজ্জাক।
এ ঘটনা জানাজানি হলে আগামী পৌরসভা নির্বাচনে তাকে ডিউটি তালিকা থেকে বাদ দিতে পারে এমন আশঙ্কায় তাৎক্ষনিক বিষয়টি তিনি কাউকে জানাননি।
গত সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) আব্দুল মান্নান পিসি কমান্ডার গোলাম হোসেনকে সাথে নিয়ে প্রকৃত ঘটনাটি সাংবাদিকদের জানান।
জানা গেছে, চলতি বছরে উপজেলার ৫৭ টি পূজামন্ডপে ৫ দিন ৮০ জন আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করেন। করোনা বিপর্যয়ের কারণে আনসার সদস্যরা মোবাইল টিমে অন্তর্ভূক্ত হয়ে দায়িত্ব পালন করেন পূজা চলাকালীন সময়ে।
এদিকে, ইউনিয়ন আনসার ভিডিপি লিডার আব্দুর রাজ্জাক ঘুষ নেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ‘মান্নানের সাথে আমার পারিবারিক লেনদেন ছিল সেই পাওনা টাকাই আমি নিয়েছি।’
উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা সুশান্ত মোদক বলেন, যদি আমার নাম ভাঙিয়ে কেউ টাকা নিয়ে থাকে তা খতিয়ে দেখা হবে। আর মান্নানের কাছ থেকে রাজ্জাক যে টাকা নিয়েছে সেটা পাওনা টাকা বলেও জানান উপজেলা ভিডিপি কর্মকর্তা।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জাকির হোসেন বলেন, ৬শ টাকা ঘুষ দিয়ে ৫শ টাকা ভাতা পাওয়ার ঘটনা অনভিপ্রেত। বিষয়টি খোঁজ নিচ্ছেন বলেও জানান তিনি।
Discussion about this post