কোভিড পরিস্থিতিতে পিছিয়েছে পর্যটন খাতের মাস্টারপ্ল্যান তৈরির কাজ। চলতি বছরের জুন নাগাদ এর কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু করোনা অতিমারির কারণে নিজ দেশে ফিরে যান মাস্টারপ্ল্যান তৈরির কাজে সম্পৃক্ত বিদেশি পরামর্শকেরা। পর্যটন বোর্ড জানিয়েছে, কোভিড পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই ফিরবেন তারা। সব মিলে মাস্টারপ্ল্যান তৈরির কাজ ২০২২ এর শেষ নাগাদ সম্পন্ন হবে, এমনটাই প্রত্যাশা পর্যটন বোর্ডের।
পর্যটন খাতে বড় ধরনের সম্ভাবনা থাকলেও এখন পর্যন্ত স্পষ্ট রূপরেখা ও সমন্বিত নির্দেশনা ছাড়াই চলছে দেশের পর্যটন খাত। ট্যুর অপারেটরদের জন্য আইন, পর্যটনের নিজস্ব নীতিমালা এসব এখনও তৈরি হয়নি। নেই কোন ট্যুরিজম আইকন। বিউটিফুল বাংলাদেশ শীর্ষক নামসর্বস্ব দুর্বল ব্র্যান্ডিংয়ে পিছিয়ে আছে পর্যটন খাত। এই শিল্পের টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে মাস্টারপ্ল্যান জরুরি বলেই জানান, ট্যুর অপারেটররা।
ভারত ভিত্তিক আন্তর্জাতিক উন্নয়ন পরামর্শ সংস্থা আইপিই গ্লোবাল এর সমন্বয়ে একটি কনসালট্যান্ট টিম ২০২০ সাল থেকে কাজ শুরু করছে মাস্টারপ্ল্যান তৈরির জন্য। ২০২১ সালের ৩০শে জুনের মধ্যে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য স্বল্প-মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী কৌশল নির্ধারণেরও ঘোষণা দেয় সরকার। কিন্তু কোভিড পরিস্থিতিতে পরামর্শকেরা তাদের দেশে ফিরে গেলে পিছিয়ে যায় মাস্টারপ্ল্যানের কাজ। কবে নাগাদ শুরু হবে তা অনিশ্চিত। তবে ভার্চুয়ালি কিছু কাজ হচ্ছে বলে জানিয়েছে, পর্যটন বোর্ড।
দেশের ৬৪ জেলা ঘুরে পর্যটনের সম্ভাবনা, সমস্যা, সীমাবদ্ধতা ও ইতিবাচকদিকসহ সার্বিক চিত্র জানতে পরামর্শকেরা বাংলাদেশ ভ্রমণ শুরু করে গত বছর। সব জেলা ঘোরা হলে তারপর কেবল মাস্টারপ্ল্যান তৈরিতেই লাগবে ১৮ মাস। যদিও একটি জেলা ভ্রমণের পর কোভিড পরিস্থিতিতে থমকে গেছে কাজ।
তিনি জানালেন, স্থানীয় জনগনকে সম্পৃক্ত করে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষার মধ্যদিয়ে পর্যটন বিকাশের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে সরকার। এর বড় নিয়ামক হবে ট্যুরিজম মাস্টারপ্ল্যান।
অবশেষে দুই সপ্তাহের জন্য বন্ধ হলো কক্সবাজারের সকল পর্যটন ও বিনোদন স্পট
১ এপ্রিল মধ্য রাত থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত কক্সবাজার জেলার সকল পর্যটন স্পট ও বিনোদন কেন্দ্র সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করেছে...
Read more
Discussion about this post