চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়ায় মাইক্রোবাস ও বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে মাইক্রোবাসের চালকসহ দুইজন নিহত ও ৯ জন আহত হয়েছে।
২৭ ফেব্রুয়ারী (শনিবার) সকাল ৭টার দিকে ইসলামনগর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের মো. হোসেনের ছেলে মাইক্রোবাস চালক এনামুল হক (২৫), পেকুয়ার শিলকালির চাঁদ মিয়ার ছেলে আবু তালেব (৪২)।
আহতরা হলেন- চকরিয়া পৌরসভার দিগরপানখালীর সুনিল দাশ (৫২), পৌরসভার থানা সেন্টারের আবদুল হাকিম (৩২), স্টেশন পাড়ার জাফর আলম (৩২), খুটাখালীর তাফসির (৩০), ফাঁসিয়াখালীর ছাইরাখালীর জাকেরিয়া (৫২), সাহারবিলের শুভ (৫০), মালমুঘাটের মতিউর রহমান (৬৫), একই এলাকার আবদুর রহিম (২২) এবং খুটাখালীর ওসমান গনি (২৬)। আহতরা সবাই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার সকালের দিকে চিরিংগা থেকে যাত্রীবাহি একটি মাইক্রোবাস চট্টগ্রাম যাচ্ছিল। এসময় কক্সবাজা মুখি এনা পরিবহণের একটি যাত্রীবাহি বাস ইসলামনগর পৌছালে মাইক্রোবাসের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।এতে মাইক্রোবাসটি দুমড়েমুচড়ে গিয়ে মাইক্রোবাসের চালকসহ দুইজন নিহত হয়।
এসময় মাইক্রোবাসের আরও ৯ জন যাত্রী আহত হয়। পরে স্থানীয় লোকজন ও হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে দ্রুত চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা আহতদের সবাইকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন।
চিরিংগা হাইওয়ে পুলিশের এসআই সিরাজুল ইসলাম বলেন, দূর্ঘটনার খবর পাওয়া সাথে সাথে ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। আহতদের মধ্যে মাইক্রোবাসের চালকসহ দুইজন নিহত হয়েছে। আহত হয় আরও ৮-৯জন। তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, দূর্ঘটনা কবলিত গাড়ি দুটি জব্দ করা হয়েছে। এনা পরিবহণের চালক ও হেলপার পালিয়ে যাওয়ায় তাদের আটক করা সম্ভব হয়নি। এঘটনা মামলা দায়ের হয়েছে এবং নিহতদের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিক চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়ার বানিয়ারছড়ার আমতলী এলাকায় পিকআপের ধাক্কায় মোটরসাইকেলের দুই আরোহী নিহত হয়। এতে আরেক মোটরসাইকেল আরোহী গুরতর আহত হয়। তিনি বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
Discussion about this post