ভারতে দিনে নারীর পূজা হয়, আর রাতে গণধর্ষণ হয়’ এমন মন্তব্য করেন ভারতীয় স্ট্যান্ডআপ কমেডিয়ান বীর দাস। বীর দাসের বিরুদ্ধে দেশকে বিদেশের মাটিতে নেতিবাচকভাবে তুলে ধরার অভিযোগ উঠেছে। এমন মন্তব্যের জেরে দিল্লির একটি থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।
খবর হিন্দুস্তান টাইমসের। সম্প্রতি কমেডিয়ান বীর দাস ইউটিউবে একটি ভিডিও আপলোড করেন। তার শিরোনাম ছিল ‘আই কাম ফ্রম টু ইন্ডিয়ানস্’। আমেরিকার ওয়াশিংটনের জন এফ কেনেডি সেন্টারে নিজের পারফরম্যান্সের ওই ভিডিও শেয়ার করার পর বিভিন্ন মহলে তা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। যদিও নেটপাড়ার বড় একটা অংশ মনে করছেন দেশের অন্ধকার দিক বা বলা ভালো দ্বিচারিতাই নিজের বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে ফুটিয়ে তুলেছেন তিনি। যাতে রাজনীতি, সাহিত্য, খেলা, ধর্ম, জাতীয়তাবাদ- কোনো কিছুই বাদ যায়নি। তবে হয়ত অযাচিত সত্য বলার জন্যই পড়লেন বিপাকে।
বীর দাসের বিরুদ্ধে দিল্লির তিলক মার্গ থানায় এফআইআর দায়ের হয়েছে। আমেরিকায় নিজের বক্তব্যে ‘অপমানজনক শব্দ’ ব্যবহার করেছেন বীর, এ যুক্তি দেখানো হয়েছে এফআইআরে। নেটপাড়ার সবাই যে তাকে সমর্থন করেছেন, এমনটা কিন্তু নয়। বীর নারীদের অসম্মান করেছেন বলেই কারও কারও মত। তাকে ‘পশু’, ‘হিন্দুফোবিক’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। কারও মতে বীর ‘নিজের পরিবারের মেয়েদের’ কথা বলেছেন আমেরিকায় গিয়ে। এমনকি, তাকে যেন আর কখনও দেশে ঢুকতে দেওয়া না হয় সেই দাবিও তুলেছেন কেউ কেউ। দিল্লি বিজেপির মুখপাত্র আদিত্য ঝা এফআইআরটি দায়ের করেছেন। এমনকি এফআইআরের কপির সাথে বীরের বিরুদ্ধে তিনি টুইটও করেছেন। যেখানে লেখা আছে, ‘অন্য দেশে গিয়ে আমাদের জাতিকে কেউ অপমান করবে তা বরদাস্ত করা হবে না।’ বীরের এ ভিডিও নিয়ে মতামত জানিয়েছেন, বলিউডের কনট্রোভার্সি কুইন ও বিজেপি পন্থী অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াতও। তিনি লিখেছেন, ‘যখন আপনি ভারতীয় পুরুষদের গণধর্ষণকারী বলে তুলে ধরছেন, তখন বাইরের দেশে আপনার এই কথায় উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে।
এ ধরনের মন্তব্যের জন্য সত্যিই বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’ তবে আত্মপক্ষ সমর্থনে পোস্ট করেছেন বীর নিজেও। তার কথা অনুসারে, ‘টু ইন্ডিয়ানস’ একটা স্যাটায়ার। ভারতে যে ভালো-মন্দ দুটোই আছে, সেটাই তিনি তুলে ধরতে চেয়েছিলেন। তিনি আরও বলেন ‘নারীদের ধর্ষণ’ ছাড়াও আরও অনেক কথা তিনি বলেছেন।
সেগুলোও দেখা উচিত। জন এফ কেনেডি সেন্টারের দর্শকরা যে ভারতকে সম্মান ও শ্রদ্ধা জানিয়ে হাততালি দিয়েছে, সে ব্যাপারেও সবাইকে নিশ্চিত করেছেন তিনি। যদিও নেটপাড়ার বড় একটা অংশ মনে করছেন দেশের অন্ধকার দিক বা বলা ভালো দ্বিচারিতাই নিজের বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে ফুটিয়ে তুলেছেন তিনি। যাতে রাজনীতি, সাহিত্য, খেলা, ধর্ম, জাতীয়তাবাদ- কোনো কিছুই বাদ যায়নি। তবে হয়ত অযাচিত সত্য বলার জন্যই পড়লেন বিপাকে। বীর দাসের বিরুদ্ধে দিল্লির তিলক মার্গ থানায় এফআইআর দায়ের হয়েছে।
Leave a Reply