চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বন্য হাতি হত্যা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে হাতি হত্যা বন্ধে সরকারের পদক্ষেপ প্রতিবেদন আকারে দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। পরিবেশ মন্ত্রণালয় সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের এ নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।
সোমবার (২২ নভেম্বর) বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এ সংক্রান্ত রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আদালত এ আদেশ দেন। রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার খান খালিদ আদনান।
এর আগে ২১ নভেম্বর চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বন্য হাতি হত্যা বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। ওয়াইল্ড লাইফ অ্যাক্টিভিস্ট আদনান আজাদ, ফারজানা ইয়াসমিনসহ তিন ব্যক্তির পক্ষে ব্যারিস্টার খান খালিদ আদনান এ রিট দায়ের করেন।
একইসঙ্গে রিট আবেদনে হাতি হত্যা বন্ধে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে রুল জারির আরজি জানানো হয়। পরিবেশ মন্ত্রণালয় সচিব, বন অধিদফতরের মহাপরিচালক, আইন সচিব, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট ২০ জনকে রিটে বিবাদী করা হয়।
রিট আবেদনে বলা হয়, আমাদের দেশে মোট ১২টি এলিফ্যান্ট করিডোর রয়েছে। কিন্তু এসব এলাকা এলিফ্যান্ট করিডোর হিসেবে ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করা হয়নি। অথচ বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে হাতি চলাচলের জন্য করিডোর সংরক্ষণের কথা বলা আছে। করিডোর সংরক্ষণ না করায় মানুষ সেখানে ঘরবাড়ি তৈরি করছে। হাতি চলাচলের পথে বাধা পেয়ে ওইসব ঘর-বাড়ি ভেঙে দিয়ে যাচ্ছে। এতে মানুষ আর হাতির মধ্যে দ্বন্দ্ব বাড়ছে। অন্যতম এ কারণেও হাতি মেরে ফেলা হচ্ছে।
তাই উক্ত রিটে হাতি হত্যা বন্ধে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ এবং এ বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্তদের কাছে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশনা চাওয়া হয়।
Leave a Reply