**কুতুবদিয়ায় মাটির নিচে হাজার হাজার মণ লবণ**
**আমদানি করার সিদ্ধান্ত ৬ মাস আগে থেকে চাষীদের জানানো প্রয়োজন**
শাহী কামরান:: দেশের লবণ শিল্প ধ্বংস করার পায়ঁতারা চলছে বলে দাবী করেছেন লবণ চাষীরা। চাষীদের শোষণ করতে মৌসুমের শুরুতে লবণ আমদানি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাই লবণ আমদানি করা হলে মাঠে নামবে না প্রান্তিক চাষীরা। সোমবার (২২ নভেম্বর) সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানার সাথে লবণ চাষী ও মিল মালিকদের মতবিনিময় সভায় বক্তারা এ কথা বলেন।
মতবিনিময় সভায় বক্তারা বলেন,কষ্ট করে লবণ উতপাদন করে মিলছে না ন্যায্য মূল্য। এতে শ্রমিকও পাওয়া যাচ্ছে না। চাষীরা লবণের ভাল দাম পেলে রপ্তানি করাও সম্ভব। তাই লবণের যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করা হোক। ডিজেল ও পলিথিনের দাম বৃদ্ধি সে সাথে শ্রমিকদের মজুরিও। এ নিয়ে উদ্ধিগ্ন প্রান্তিক চাষীরা।
সভায় বক্তারা আরো বলেন, লবণ নিয়ে যে আইন করা হয়েছে তাতে অনেক জটিলতা আছে। আইন মানতে গিয়ে ছোট মিলগুলা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। তাই আইনের বিধিবিধান বাস্তবায়ন শিথিল করা প্রয়োজন।
কক্সবাজার চেম্বার আব কমার্স এন্ড ইন্ড্রাস্ট্রির সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী বলেন, সোডিয়াম সালফেড বিতর্কে গত বছর মাঠে নামেনি চাষীরা । লবণের চাহিদা ও ঘাটতি নিয়ে কমিটি গঠনের মাধ্যমে জরিপ করতে হবে। আমদানি করার সিদ্ধান্ত ৬ মাস আগে থেকে চাষীদের জানানো প্রয়োজন।
এদিকে, কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় হাজার হাজার মণ লবণ পড়ে আছে মাটির নিচে। ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় বিক্রি না করেই চাষীরা মাটির নিচে মজুত করেছে এসব লবন। চাষীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, প্রতিমণ লবনের উৎপাদন খরচ দাঁড়ায় ২২০ টাকা আর বিক্রি হয় ১৮০ টাকায়। এতে করে লবণ চাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন চাষিরা।চাষিদের অভিযোগ, অবৈধ প্রক্রিয়ায় লবণ আমদানি করায় দেশের উৎপাদিত লবণের ন্যায্যমূল্য পাওয়া যাচ্ছে না। মধ্যস্বত্বভোগীদের কাছে প্রান্তিক চাষিরা জিম্মি হয়ে পড়েছে। তাদের বেঁধে দেওয়া দরের মধ্যে লবণ বিক্রি করতে হচ্ছে। স্থানীয় লবণ চাষীরা বিগত কয়েকবছর ধরেই লবণের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন না দাবি করেছেন।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব জাকিয়া সুলতানা বলেন, মুনাফার লোভে কৃত্রিম সংকট তৈরী করা সিন্ডিকেট ভাঙ্গা হবে। মাঠ পর্যায় থেকে তথ্য নিয়ে চামড়ার মতো লবণের দামও নির্ধারণ করে দেওয়া হবে।
সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বিসিক চেয়ারম্যান অতিরিক্তি সচিব মো: মোশতাক হাসান,আশেক উল্লাহ রফিক এমপি,এমপি কানিজ ফাতেমা আহমেদ মোস্তাক, জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এড. ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী,টেকনাফের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শফিক মিয়া,মহেশখালী পৌরসভার মেয়র মকছুদ মিয়া,মহেশখালী উপজেলা চেয়ারম্যান শরীফ বাদশা সহ বাংলাদেশ লবণ মিল মালিক এসোসিয়েশনের সভাপতি নুরুল কবির,লবণ চাষী কল্যাণ পরিষদের সভাপতি মোস্তফা কামাল চৌধুরী প্রমুখ।
’
Leave a Reply