নগরের সব বাজারকে পলিথিনমুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রচারণার পাশাপাশি সতর্কতার পর জরিমানার আওতায় আনার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেছেন, আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত নগরের বাজারগুলোতে তাদের স্ব স্ব কমিটির উদ্যোগে মাইকিং, পোষ্টার, ফ্যাস্টুন, ব্যানার, লিফলেটসহ সকল ধরণের প্রচার-প্রচারণা চালাবেন। ১০ ফেব্রুয়ারির পর থেকে চসিকের ম্যাজিস্ট্রেট বাজার পরিদর্শন করে, ব্যবসায়ীদের নির্দেশনা ও সতর্কতা দিবে। পরবর্তীতে ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে বাজারে কোন পলিথিন পাওয়া গেলে তাদেরকে আইনের আওতায় এনে জরিমানাসহ শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।’
বুধবার (২৬ জানুয়ারি) সকালে বাজার কমিটির সাথে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন মেয়র। তিনি ৪১টি ওয়ার্ডের বাজারগুলোতে স্ব স্ব কাউন্সিলরদেরও বাজার কমিটির সাথে সমন্বয়পূর্বক প্রচার-প্রচারণায় অংশগ্রহণ করতে নির্দেশনা দিয়েছেন।
চসিকের পলিথিনমুক্ত বাজারে প্রথম দিনেই পাওয়া গেল পলিথিন
এর আগে গত বছরের ১ ডিসেম্বর থেকে নগরের কাজীর দেউড়ী, কর্ণফুলী মার্কেট ও চকবাজার কাঁচাবাজার থেকে সব ধরনের পলিথিনের ব্যবহার বন্ধ করে চসিক।
এসময় মেয়র বলেন, ‘পলিথিনের কারণে নগরের জলাবদ্ধতা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। পলিথিনের কারণে নালা-নর্দমায় পানি জমে মশার প্রজনন অতিমাত্রায় বেড়ে গেছে। সবচেয়ে বড় কথা হলো পলিথিন কর্ণফুলী নদীর তলদেশে জমাট হয়ে ৮ ফুটের বেশি শক্ত স্তর তৈরি করেছে যা কর্ণফুলী নদীতে ড্রেজিং করতে গিয়ে মারাত্মক ব্যাঘাত সৃষ্টি করছে। নেদারল্যান্ড থেকে অত্যাধুনিক ড্রেজিং মেশিন এনেও নদীর পুরু পলিথিন স্তর ভেদ করে ড্রেজিং সম্পন্ন কঠিন হয়ে পড়ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে অচিরে কর্ণফুলী নদীর নাব্যতা হারিয়ে মরা নদীতে পরিণত হবে। কর্ণফুলীর নদীর পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে গেলে চট্টগ্রাম বন্দর কার্যকারিতা হারাবে ফলশ্রুতিতে এর পরিণাম ভয়াবহ হয়ে দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দেবে। তাই এই অবস্থায় পরিবেশের ক্যান্সার স্বরূপ এ পলিথিন ব্যবহার বন্ধ করা সময়ের দাবিতে পরিণত হয়েছে।’
Leave a Reply