কক্সবাজার দক্ষিণাঞ্চলে হঠাৎ করে বিভিন্ন সড়ক থেকে বাংলাদেশ সেনা বাহিনীর চেকপোস্ট উঠে যাওয়ায় রেহিাঙ্গা শরনার্থীদের অবাধ বিচরণ শুরু হয়েছে ।ফলে এলাকার আইনশৃঙ্খলা চরম অবণতির দিকে ধাবিত হচ্ছে।বৃদ্ধি পাচ্ছে মাদক পাচার ও অসামাজিক কর্মকান্ড। স্থানীয় সূত্রে জানায়,সেবাহিনীর টেকপোস্ট থাকাকালীন সময়ে রোহিঙ্গা শরনার্থীরা যানবাহন যোগে ও পায়ে হেটে কোথাও যেতে ভয়ে থাকতেন ।পাশাপাশি এলাকার সন্ত্রাসী ও দৃষ্কৃতকারী লোকজন সড়ক দিয়ে যাতায়ত সহজে করতেন না ।এর কারণে এলাাকার আইনশৃঙ্খলা যেমনি স্বাভাবিক ছিলো,তেমনি এলাকার সাধারণ লোকজন শান্তিতে বসবাস করতে পেরেছিল। হঠাৎ করে গত ২/১ মাস আগে কোনো ঘোষণাই ছ্ড়াা টেকনাফ কক্সবাজারের সড়ক সমূহের সেনাবাহিনীর চেকপোস্ট উঠে যাওয়ায় ১৯৯১ ও ২০১৭ সালে প্রতিবেশি রাষ্ট্র মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আসা বাস্তচ্যুত রোহিঙ্গারা দেশের অভ্যান্তরে অনায়সে চলাফেরা করছে ।ফলে মিয়ানমার থেকে আসা ইয়াবা ,আইস ও স্বর্ণের বড় বড় চালান দেশের বিভিন্ন স্থানে পাচার করছে এসব রোহিঙ্গা শরনার্থীরা । আবার তারা দেশের বিভিন্ন গোপনীয় তথ্য মিয়ানমারে পাঠিয়ে দিচ্ছে বলেও জানা গেছে।এতে দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব নষ্ট হচ্ছে পাশাপাশি ইয়াবার চালান দেশের বিভিন্ন স্থানে যাওয়ায় যুব ও ছাত্র সমাজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে চলে যাচ্ছে ।
টেকনাফ উপজেলার উপকূলীয় এলাকার লোকজন জানান,সন্ধ্যা হওয়ার সাথে সাথে রেহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্পের নারী পুরুষ ও শিশুরা বিভিন্ন যানবাহন যোগে মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমানোর উদ্দেশ্যে সমুদ্র সৈকত এলাকায় জড়ো হয় ।রাত গভীর হলে ছোট ছোট ফিশিংবোটের মাধ্যমে গভীর সাগরে অবস্থানরত থাইল্যাংন্ডের বড় বড় শিপে উঠানোর প্রতিযোগিতা শুরু করে ।এই সমস্ত অবৈধ কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়েছে রোহিঙ্গা শরনার্থী শিবিরের মানবপাচারকারী কিছু দালালেরা।
এছাড়াও রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্প থেকে দিবারাত্রি সমানতালে বের হয়ে নাফনদী সাঁতার কেটে মিয়ানমারে গিয়ে এসব রেহিঙ্গারা নিয়ে আসছে ইয়াবা, আইস ও স্বর্ণের বড় বড় চালান।যার ফলে দেশের আইনশৃঙ্খলা চরম অবণতি ঘটছে ।সচেতন মহল জানান,সেনাবাহিনীর চেকপোস্ট উঠে যাওয়ায় রোহিঙ্গা শরনার্থীরা উখিয়া-টেকনাফ এলাকায় অবাধে বিচরণের সুযোগ হয়েছে ।পূণরায় সেনাবাহিনীর টেকপোস্ট বসানো না হলে,কক্সবাজরের দক্ষিণাঞ্চল রোহিঙ্গাদের অধীনে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল এবং এলাকায় অসামাজিক কার্যকলাপ ও কর্মকান্ড বৃদ্ধি পাবে বলে জানান স্থানীয় জনসাধারণ।অনতিবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সচেতন মহল ।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পারভেজ চৌধুরীর সাথে যোহাযোগ করা হলে তিনি এবিষয়ে অবগত নন এবং সেনাবাহীনির বিষয়টা তাদের অভ্যান্তরীন ।
Leave a Reply