একদিনে দুই ধাপে নোয়াখালীর ভাসানচরে গেলো উখিয়ার শরণার্থী শিবিরে থাকা আরও ৬৬৭ পরিবারের ১৯৯৯ জন রোহিঙ্গা। মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) দুপুর ১২টা ও বিকেল ৫টার দিকে পৃথকভাবে এসব রোহিঙ্গারা ভাসানচরের উদ্দেশে গেছেন। এর মধ্যে সকালে ১০৯৬ জন এবং বিকেলে ৯০৩ জন রোহিঙ্গা উখিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠ থেকে মোট ৩৯টি বাসে করে ভাসানচরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়।
অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ সামছু-দ্দৌজা জানান, এবার ৬৬৭ পরিবারের ১৯৯৯ জন রোহিঙ্গা স্বেচ্ছায় ভাসানচরে যেতে রওনা হয়েছে। তারা আগামীকাল বুধবার ভাসানচরে পৌঁছাবে।
শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের প্রতিনিধি জহিরুল ইসলাম বলেন, ভাসানচরে পৌঁছানোর পর তাদেরকে নিজ নিজ সেন্টারে তুলে দেওয়ার জন্য আমরা প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। নিত্যপ্রয়োজনীয় সব কিছু দিয়ে তাদের সহযোগিতা করা হবে।
এর আগে, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি ১২ দফায় ১ হাজার ৬ জন রোহিঙ্গা কক্সবাজার থেকে নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার ভাসানচরে যান। বর্তমানে প্রায় ২০ হাজারের উপরে রোহিঙ্গা ভাসানচরে বসবাস করছেন। এছাড়াও ২২মার্চ অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যাওয়ার চেষ্টা করা ১৪৯ রোহিঙ্গাকে সমুদ্র থেকে উদ্ধার করে সেখানে নিয়ে রাখা হয়।
জানা গেছে, নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরের জন্য সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ৩ হাজার ৯৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়। ১৩ হাজার একর আয়তনের ওই চরে এক লাখ রোহিঙ্গা বসবাসের উপযোগী ১২০টি গুচ্ছগ্রামের অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। ভাসানচরের পুরো আবাসন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে নৌবাহিনী।
Leave a Reply