বান্দরবানে ইয়াবা মামলায় দুই সহোদর সহ তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও তিনজন বেকসুর খালাস।
বিশেষ প্রতিনিধিঃ
বান্দরবানে ইয়াবা মামলায় দুই সহোদর সহ তিনজন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ১০হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরও ০৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত।বুধবার( ৩০ মার্চ) দুপুর ১২ঘটিকার সময় বান্দরবান জেলা ও দায়রা জজ জনাব মো: এহসানুল হক এ রায় প্রদান করেন।
রায় ঘোষণার সময় সাজাপ্রাপ্ত আসামি
মো: রশিদ প্রকাশ পুতিয়া, লুৎফর রহমান, ও ছৈয়দ আলম প্রকাশ বদি খলিফা সহ বাকি তিনজন আসামি ডকে উপস্থিত ছিলেন।
অাসামিরা সকলেই বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউপির ০৫নং ওয়ার্ড,ঘুমঘুম পশ্চিম পাড়ার বাসিন্দা।
বান্দরবান
জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পেশকার নুরুল আবছার জানান,২০২০ সালের ২৭জুন অনুমান ৩:২০ঘটিকার সময় বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি থানাধীন ঘুমধুম ইউপিস্থ ০৫নং ওয়ার্ড, ঘুমধুম পশ্চিম পাড়ায় আসামি মো:রশিদ প্রকাশ পুতিয়ার বাড়ির পূর্ব পাশে রাস্তার উপর সাজাপ্রাপ্ত তিনজন আসামির দখল হইতে ৪৯,৫৬৫ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয় এবং খালাস প্রাপ্ত আসামি মফিজুর রহমান,মো:করিম প্রকাশ বাবুল,রেজাউল করিম- এর বিরুদ্ধে উক্ত ইয়াবা ট্যাবলেট মায়ানমার হইতে এনে সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের ক্রয়-বিক্রয়ে সহযোগিতা করার অভিযোগ আনয়ন করা হয়। এ ঘটনায় একই দিন নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ঘুমধুম তদন্ত কেন্দ্রর তৎকালীন এস,আই,এনামুল হক,বাদি হয়ে উক্ত আসামিদের বিরুদ্ধে নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় এজাহার দায়ের করলে পুলিশ ২০২০ সালের ২৪ ডিসেম্বর ছয়জন আসামিকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আদালত অভিযোগপত্রে উল্লেখিত ছয়জন আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠন পূর্বক রাষ্ট্রপক্ষের উপস্থাপিত ০৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহনের পর আসামিপক্ষ হইতে তিনজন সাফাই সাক্ষী কে পরিক্ষা করার মাধ্যমে উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে আদালত এ রায় প্রদান করেন।
দায়রা জজ আদালতের বিজ্ঞ পিপি এডভোকেট মো: জয়নুল আবেদীন এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন,আসামি মো: রশিদ প্রকাশ পুতিয়া, লুৎফর রহমান,ও ছৈয়দ আলম প্রকাশ বদি খলিফা ৪৯,৫৬৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ক্রয়-বিক্রয়ের উদ্দ্যেশ্যে নিজ হেফাজতে রাখার অপরাধ করে। এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় সাক্ষ্য- প্রমাণে বিষয়টি প্রমানিত হয় আদালত এ রায় দেন।
মামলার অপর আসামি মফিজুর রহমান,মো: করিম প্রকাশ বাবুল,ও রেজাউল করিম- এর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আনীত অভিযোগ প্রমান করতে সমর্থ না হওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস প্রদান করা হয়।
Leave a Reply