দক্ষিন এশিয়ার প্রথম বারের মতো সনাতন লবন মিল মালিকদের জন্য চালু করা হলোওয়েব বেইজ এবং মোবাইল অ্যাপ।
এই পদ্ধতির মাধ্যমে মিল মালিকরা তাদের উৎপাদিত পন্যের হিসেব সহজে রাখতে পারবে। শনিবার সকালে কক্সবাজারের একটি
তারকা মানের হোটেল এই ওয়েব বেইজ এবং মোবাইল অ্যাপ এর উদ্বোধন করেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সাখাওয়াত হোসেন।
বক্তব্যে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক মানের এই মেনেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (এমআইএস) শুধু বাংলাদেশে নয় দক্ষিণ এশিয়ায়ও প্রথম, যা শুধু মাত্র সনাতন লবণ মিলের জন্য তৈরি করা হয়েছে। এই সাফল্যের পিছনে ইউনিসেফ বাংলাদেশের সহযোগিতা কে স্বাগত জানিয়ে অতিরিক্ত সচিব বলেন, এই এমআইএস বাংলাদেশের লবণ মিলারদের জন্য যতোটুকু অবদান রাখবে তার চেয়ে ব বেশি অবদান রাখবে বাংলাদেশকে আয়োডিনযুক্ত লবণ ব্যবহারে শতভাগ উন্নতিতে অভূতপূর্ব দিকনির্দেশনা দেওয়ার মধ্যে দিয়ে। এমআইএস এর তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে বাংলাদেশে কিভাবে সর্বজনীন আয়োডিনযুক্ত লবণ ব্যবহারকে বেগবান করা যায় সেই ব্যাপারে উচ্চ পর্যায়ের পলিসি প্রণয়ন করা হবে বলেও জানান তিনি।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি ছিলেন স্থাণীয় মন্ত্রনালয়ের সচিব শ্রাবস্তী রায়। তিনি বলেন, লবণ উৎপাদনে অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে মিল মালিকরা দেশব্যাপী
আয়োডিনযুক্ত লবণ বিপণন করে আসছেন। দেশে উৎপাদিত লবণ সঠিকভাবে বাজারজাত করনের লক্ষ্যে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের গুরুত্ব অপরিসীম। তারই ধারাবাহিকতায়, লবণ মিলারদের জন্য ইউনিসেফ বাংলাদেশ সহজে যে এ্যাপসটি নিয়ে এসেছে তা নি:সন্দেহে মিলাররা উপকৃত হবে।
বক্তেব্যে কক্সবাজার চেম্বার অব কর্মাসের প্রেসিডেন্ট আবু মোরশেদ বলেন, দেশের সবচাইতে বেশী লবন উৎপাদনের শহর কক্সবাজার। এই কক্সবাজারের লবন মিল মালিকদের যাবতীয় তথ্য উপাত্ত জমা রাখার যে এ্যাপ চালু হলো তা নি:সন্দেহে প্রশংসিনীয়।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে , ইউনিসেফ বাংলাদেশ এর পুষ্টি অফিসার ডা. আইরিন আখতার চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ তার জনগোষ্ঠীকে আয়োডিনযুক্ত লবণ সরবরাহ করতে সক্ষম। ৩২০ টির অধিক মিল আটটি অঞ্চল থেকে দেশে আয়োডিনযুক্ত লবণ সরবরাহে কাজ করছে নিরলসভাবে। দেশের লবন শিল্পের উন্নয়নে ইউনিসেফ কাজ করে
যাচ্ছে বলেও জানান তিনি। তারই ধারাবাহিকতায় আয়োডিন যুক্ত লবন উৎপাদনের সাথে জড়িত মিল মালিকদের জন্যেই এই ধরনের কাজে ইউনিসেফ এগিয়ে এসেছে বলে
জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে ইসলামপুর মিল মালিক সমিতির সভাপতি শামসুল আলম আজাদ তার বক্তব্যে বলেন মিলারা তাদের উৎপাদিত পন্যের যেমন হিসেব রাখতে পরাবেন, ঠিক তেমনি লবনের সব ধরনের তথ্য সরসরি সরকারকেও জানানোর মাধ্যমও হলো এই এ্যাপস। তিনি বলেন দেশের গুনগত মানের লবন উৎপাদন হয়। মিল মালিকরা আন্তরিক
হলে দেশের লবন দিয়েেই দেশের চাহিদা মিটিয়ে লবন বিদেশে রপ্তানি করা যাবে বলেও জানান তিনি। অনুষ্টানে শতাধিক মিল মালিক এবং লবন ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।
আযোজকরা জানান, প্রযুক্তির মাধ্যমে লবণ মিলারদের উন্নয়ন ও গুণগতমানের আয়োডিনযুক্ত লবণের ব্যবহার বৃদ্ধিতে সবধরনের কারিগরি সহযোগীতায় পাশে থাকবে ইউনিসেফ বাংলাদেশ। মিল মালিকদের পাশাপাশি সরকারি সনদ প্রদানকারী
প্রতিষ্ঠানারেও এই এমআইএস ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে। নিবন্ধন করা যাবে খুব সহজেই! ওয়েবসাইট ব্যবহার করে www.cmis.usi.net.bd অথবা মোবাইল অ্যাপস usiBD এর মাধ্যমে নিবন্ধিত হওয়া যাবে।
বিশ্বের যে কোন প্রান্ত থেকে মিলার তার নিজ তথ্যের পর্যালোচনা করতে পারবেন এক ক্লিকেই। এই এমআইএস ব্যবহারে সেবা পাবে অনলাইনে। অনলাইনে ২৪ ঘন্টায় ৭ দিন সেবার আওতায় থাকবে।
Leave a Reply