**********************
মহেশখালীতে ২ হাজার ৫’শ ভূমিহীন পরিবারের অসহায়ত্ব জীবন-যাপন। তথ্যনিয়ে জানাগেছে, কুতুবজোম ইউনিয়নের বাসিন্দা তাদের পিতামহ সহ প্রায় ৪০ বছর থেকে ৩০ বছর যাবৎ সরকারী ১নং খাস খতিয়ানের জমির উপর ঘরবাড়ি নির্মান করে বসবাস এবং গাছপালা, ক্ষেত-খামার করিয়া আসছে। কিন্তৃ উক্ত জায়গাগুলি এখনো বন্দোবস্তী হয়নি। মহেশখালীর কুতুবজোম ইউনিয়নে আনুমানিক ২ হাজার ৫’শ পরিবার ভূমিহীন, এর মধ্যে প্রায় ৫০০ শ’ পরিবার অর্থের অভাবে ঘরবাড়ি করতে না পেরে পলিথিনের ছাউনি দিয়ে কোন রকম দিনাতিপাত করছে, প্রায় ২শ’ আশ্রয়হীন অবস্হায় আছে। এমতাবস্থায় তারা অত্যন্ত কষ্টে আছে, ভূমিহীন হওয়ায় তাদের ছেলেমেয়েদের স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় ভর্তি করাতে পারছে না, কোন সাহায্য সহযোগীতা পাচ্ছে না ও তাদের ছেলেমেয়েদের বিদেশে পাঠাতে পাচ্ছে না সহ বিভিন্ন সমস্যায় রয়েছে। সম্প্রতি সময়ে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সকল আশ্রয়হীনদের আশ্রয়স্হল প্রদান করা হবে। সেই মতে কুতুবজোম ইউনিয়নের ২ হাজার, ৫শ’ ভুমিহীনের বসতভিটা, কৃষি জমি, ক্ষেত খামার বন্দোবস্তী দিলে তারা খতিয়ান পাবে। উক্ত খতিয়ানের প্রেক্ষিতে তারা জন্মনিবন্ধন, এনআইডি কার্ড, পাসপোর্ট ও সরকারী চাকুরীর আবেদন করতে পারবেন। উপরোক্ত বিষয়াদি সুবিবেচনা করার লক্ষ্যে সহকারী কমিশনার (ভূমি) এসিল্যান্ড মহেশখালী বরাবরে লিখিত আবেদন ও অনুলিপি দিয়েছেন সংসদ সদস্য, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক, মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও কুতুবজোম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বরাবরে। লিখিত আবেদন ও অনুলিপি পেশ করেছেন সকল ভূমিহীন ও গৃহহীনদের পক্ষে, কুতুবজোম ইউনিয়ন ভূমিহীন সমবায় সমিতির সভাপতি মুহাম্মদ বাহাদুর আলী। সভাপতি মুহাম্মদ বাহাদুর আলী জানান, ভূমিহীনদের ভূমি বন্দোবস্তী ও আশ্রয়হীনদের আশ্রায়স্হল প্রদান করা হলে তারা উপকৃত হবে তাই সার্বিক চিন্তাভাবনা করতঃ তাদের কল্যানে এগিয়ে আসা সময়ের দাবী।
Leave a Reply