শাহী কামরানঃ কক্সবাজার সদরের পিএমখালীতে চাঞ্চল্যকর ‘মোরশেদ আলী’ হত্যাকান্ডের ঘটনায় মামলা দায়ের। ২৬ জন কে আসামী করে আজ (৯ এপ্রিল) বিকেলে নিহতের ছোট ভাই এডভোকেট জাহেদ আলী বাদি হয়ে এজাহার জমা দেন। কক্সবাজার সদর মডেল থানায় যার মামলা নং ১৭/২২ ও জিআর ২২৭/২২।
এজাহার অভিযুক্ত আসামিরা হলেন- পিএমখালীর মাইজপাড়ার কবির আহমদের পুত্র আব্দুল মালেক (৪৫) ও কলিম উল্লাহ (৩২), মনির আহমদের ছেলে মো. আলি প্রকাশ মোহাম্মদ (৪৫), মাহামুদুল হক (৫২), হাবিব উল্লাহর পুত্র জাহাঙ্গীর আলম (৩৫), কাঠালিয়া মোরা ঘোনার পাড়া এলাকার শফিউল আলমের পুত্র মতিউল ইসলাম (৩৪) প্রকাশ ভুয়া সাংবাদিক, শফিউল আলমের ছেলে তাহেরুল ইসলাম (৪৬), ফজল আহমেদের ছেলে ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি এবং এমইউপি আরিফ উল্লাহ (৩৫), মৃত মনির আহমদের পুত্র ছৈয়দুল হক (৪০), হামিদুল হক (৪০), তুতুকখালী সিকদার পাড়া এলাকার মোক্তার আহমদের পুত্র এবং ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি সিরাজুল মোস্তাফা আলাল,বদিউজ্জামান সিকদারের পুত্র মো. আক্কাস (৪০), মো. আলীর ছেলে মো. শাহীন (২৫), বাংলাবাজার এলাকার ছৈয়দ আহমদের পুত্র জয়নাল আবেদিন (৪৮), গোলার পাড়ার মো. ইলিয়াসের পুত্র এবং কক্সবাজারের আলোচিত কথিত পাওয়ার আলীর ভাই মাহামুদুল করিম (৪০), দিদারুল আলম (৩০), বশির আহমদের ছেলে ওমর ফারুক (৩০), মাইজপাড়ার মৃত ফোরকান আহমদের ছেলে খোরশেদ আলম (৩০), মাহামুদুল হকের ছেলে আব্দুল্লাহ (৩০), মাহমুদুল হকের পুত্র আব্দুল আজিজ (২৮), আব্দুল হাই (২৩), মোহাম্মদের ছেলে মো. ইয়াছিন (১৮), শফিউল আলমের ছেলে সাইফুল ইসলাম (৪৫), মনির আহমদের ছেলে ওসমান (৩৫), নুরুল হকের ছেলে জাহেদুল ইসলাম (১৯), কাঠালিয়া মোড়া শফিউল আলমের ছেলে আজহারুল ইসলাম (৩২) সহ অজ্ঞাত আরও ৮/১০জন।
প্রসঙ্গত, ৭ এপ্রিল ইফতারের অনুষঙ্গ কেনার সময় জনসম্মুখে মোরশেদ আলী (৩৮) নামে এক যুবককে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করেছে চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা। কক্সবাজার সদরের পিএমখালী ইউনিয়নের চেরাংঘর বাজারে সড়কের উপর জনসম্মুখে এই হত্যাকান্ড চালাই তারা।
বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু ঘটে তার। ময়না তদন্ত শেষে ৮ এপ্রিল বিকেল ৫ ঘটিকার সময় নিজ গ্রামে জানাজা ও দাফন কাফন সস্পন্ন করে মোরশেদের শোকাহত পরিবার। সৌদি প্রবাসী মোরশেদ আলী সদর উপজেলার পিএমখালী ইউনিয়নের মাইজপাড়া গ্রামের মৃত মাওলানা মাষ্টার ওমর আলীর ছেলে। তিনি এলাকায় ‘অন্যায়ের প্রতিবাদকারী’ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। এবং শখের বসে দেশে ঘুরতে আসলে গ্রামের ঐতিহ্যবাহী বলীখেলায় অংশগ্রহণ করতেন। সে সুবাদে তাকে সবাই মোরশেদ বলী নামে ডাকতো।
Leave a Reply