প্রেস বিজ্ঞপ্তিঃ
গত শুক্রবার (৮এপ্রিল) টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা মৌলভীবাজারে একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামের মানুষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। উক্ত ঘটনায় পুলিশ সদস্য সহ ১০/১২ জন আহত হয়।
উক্ত ঘটনায় হ্নীলা ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের ভোক্তভোগীরা ১৪ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) ‘কক্সবাজার রিপোর্টার্স ইউনিটির কার্যালয়ে’ এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের উপস্থিত ভোক্তভোগীদের দাবি, গেল শুক্রবার (৮এপ্রিল) একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হ্নীলায় অপরাজনীতি শুরু হয়েছে। কিছু রাজনৈতিক নেতা ও জনপ্রতিনিধি তাদের ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের জন্য তুচ্ছ ঘটনাটি উস্কে দিয়ে বড় আকারে রুপ নিতে সহায়তা করেছে। একই সাথে মামলা বানিজ্যও চলছে সে ভয়ে রয়েছে গ্রামবাসী। যা অত্যন্ত দু:খজনক ও নিন্দনীয় বলে দাবি তাদের। জনপ্রতিনিধিরা চাইলে ঘটনাটি অঙ্কুরে বিনষ্ট হতে পারতো এমনটাই বলছেন তারা।
প্রকৃত ঘটনার বর্ণনা দিয়ে জানান, সেদিন শুক্রবার সকালে হ্নীলা ইউনিয়নের ১নাম্বার ওয়ার্ডের পেঠান আলীর ছেলে আলম তার ইজিবাইক নিয়ে মৌলভীবাজারে দাড়িয়ে ছিলেন। এ সময় মোটরসাইকেলে যাওয়ার সময় ২ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা সোনা আলীর ছেলে সাইফুলের সাথে কথা-কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে দুইজন মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন। তাদের মারামারি উভয়ের আত্মীয় স্বজন জড়িয়ে পড়ে। ধীরে ধীরে তা গ্রামের মাঝে ছড়িয়ে পড়ে। সেদিন জুমা’র নামাজ পড়ে স্থানীয় ২ নং ওয়ার্ড মেম্বার বেলাল উদ্দিন উভয় পক্ষের উত্তেজনাকর পরিস্থিতি শান্ত না করে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে ১ নং ওয়ার্ডে লোকজন জড়ো করেন। এবং উপস্থিত জনগণের মাঝে উত্তেজনা ছড়িয়ে দেন। এক পার্যায়ে দুই গ্রামবাসি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে ইটপাটকেল, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে থানা পুলিশ, র্যাব সদস্যরা এসে উভয় পক্ষকে শান্ত করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন। স্থানীয় চেয়ারম্যান রাশেদ মো:আলী ও উপজেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক নুরুল মোস্তফাসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন। অথচ এ ঘটনাটি ছিল একজন ইজিবাইক চালক ও মোটরসাইকেল আরোহীর মধ্যে সৃষ্ট সমস্যা।
অত্যান্ত ঘৃণার বিষয় হচ্ছে ঘটনাটি সমাধান না করে একই দিন রাতে কিছু জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতার ইন্দনে ২ নং ওয়ার্ডের লোকজনকে উস্কে দিয়ে মৌলভীবাজারে প্রধান সড়কে মিছিল বের করেন। এ সময় উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল মোস্তফার নামে বিভিন্ন শ্লোগান দেয় এবং তার কুশপুত্তলিকা দাহ করে। অথচ উক্ত ঘটনায় তার কোন সম্পৃক্ততা ছিলো না। তখন আমরা বুঝতে পেরে একটি স্বার্থন্বেষী গোষ্ঠি ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চাই। সংঘর্ষ হয়েছে দুই গ্রামের মানুষের মাঝে অথচ মিছিল হচ্ছে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে।
কেন এমনটি হলো তা বুঝতে আর কারো বাকি রইলো না। পরে আমরা জানতে পারছি যে, একটি গোষ্ঠি দুই গ্রামবাসির সংঘর্ষের ঘটনার সুযোগ নিয়ে নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থহাসিলে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে মিছিলটি করিয়েছে এবং উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের কুশপুত্তলিকা দাহ করেছে। আমরা জেনেছি ভাড়া করা রোহিঙ্গা দিয়ে নাকি ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে মিছিলটি করা হয়েছে। আর টাকা বিনিয়োগ করেছেন ইয়াবা ব্যবসায়ীরা।
আপনাদের কাছে (সাংবাদিকদের) আসার মূল কারণ হচ্ছে, দুই গ্রামের ঘটনা সুষ্ঠু সমাধান না করে উল্টো সংঘর্ষে জড়িয়ে দেওয়া কখনো মানবিক কল্যানে রাজনীতি হতে পারে না। আমাদের আশঙ্কা এরা আরো বড় ধরনের অপরাধ সংগঠিত করতে পারে। বিশেষ করে রোহিঙ্গা অধ্যুষিত হওয়ায় আতংকিত রয়েছে ২ নং ওয়ার্ডের মানুষ। তাই একটু দেরি হলেও আপনাদের সামনে এসেছি। ইতিমধ্যে উভয় পক্ষের পক্ষে দুটি পৃথক মামলা হয়েছে। বিষয়টি আইনগতভাবে মোকাবেলা করা হবে। সেটি আমাদের চিন্তার কোন কারণ নেই। আমাদের চিন্তার কারণ হচ্ছে এ চক্রটি তাদের রাজনৈতিক হীনস্বার্থে যদি রোহিঙ্গা অপরাধীদের ব্যবহার করা হয় তবে বড় ক্ষতি হতে পারে সমাজের।
তারা আরো বলেন, আমাদের বিশ্বাস ছিল রাজনীতিতে আদর্শের প্রতিযোগিতা থাকবে। কিন্তু এখন প্রতিহিংসার আগুন ছড়ানো হচ্ছে চারদিকে। ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদকের অনেক প্রতিপক্ষ রয়েছে। রাজনীতি করলে প্রতিপক্ষ থাকতে পারে। কিন্তু দুই গ্রামের মানুষকে ব্যবহার করে তারা ছাত্রলীগের সুনাম নষ্ট করেছে।
তারা প্রশাসনের সুষ্ঠু নিরপেক্ষ তদন্ত পূর্বক প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি করেন। সে সাথে ১নং ওয়ার্ডের সাধারন মানুষ নির্ঘুম অস্ত্রের মুখে দিন কাটাচ্ছে। তারা জীবন নিরাপত্তার দাবি করেছেন ও মিথ্যা মামলা হতে অব্যাহতির দাবি জানান।
More News .....
Leave a Reply