ব্যাংক ও খোলাবাজারে ডলারের দামের পার্থক্য আট টাকা ছাড়িয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে প্রতি ডলারের দাম ৮৬ টাকা ৭০ পয়সা। তবে বেসরকারি খাতের আমদানিকারকদের প্রতি ডলারের জন্য গুনতে হচ্ছে ৯৫ টাকার বেশি।
এতে অবৈধ পথে প্রবাসী আয় বাড়ার আশঙ্কা করছেন ব্যাংকাররা। কারণ, ডলারের দামের পার্থক্য আগে কখনো এত বেশি হয়নি। ব্যাংকগুলোতে ডলারের সংকট কাটাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ থেকে গতকালও ৯ কোটি ডলার বিক্রি করেছে। ফলে চলতি অর্থবছরের বিক্রি বেড়ে হয়েছে ৫৯০ কোটি ডলার।
ডলার সংকটের কারণ সম্পর্কে বিভিন্ন ব্যাংকের ট্রেজারি বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ঈদের আগে বেতন-ভাতার জন্য পোশাক কারখানাগুলো বেশি রপ্তানি আয় দেশে এনেছে।
এ ছাড়া প্রবাসীরাও ভালো আয় পাঠিয়েছেন, ঈদের পর যা কমে গেছে। এতে সংকট তৈরি হয়ে ডলারের দাম বাড়ছে। কারণ, বিদেশি ব্যাংকের কাছে সময়মতো আমদানি বিল পরিশোধের বিকল্প নেই।
ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, মূলধনি যন্ত্রের জন্য এক বছরে বিলম্বে বিল পরিশোধে ঋণপত্র খোলা যায়। কাঁচামালের ক্ষেত্রে বিলম্বের মেয়াদ ছয় মাস এবং ওষুধ, সার, কীটনাশক আমদানির জন্য তিন মাস। তবে করোনার কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক দফায় দফায় আমদানি বিল পরিশোধের মেয়াদ বাড়ায়।
ফলে আমদানিকারকেরা নির্ধারিত সময়ের চেয়ে বিল পরিশোধে দ্বিগুণ সময় পান। এসব আমদানিকারক পড়েছেন সবচেয়ে বিপাকে। কারণ, ৮৫ টাকার ঋণপত্রে এখন তাদের ৯৫ টাকা পর্যন্ত গুনতে হচ্ছে।
এদিকে ডলারের সংকট মোকাবিলায় নানামুখী উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বিলাসপণ্যের আমদানি ঠেকাতে গাড়ি ও ইলেকট্রনিকস পণ্যের ঋণপত্রে নগদ জমার হার বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আর সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ বন্ধ করে দিয়েছে সরকার।
Leave a Reply